পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা: বাংলা | প্রবন্ধ রচনা

জাতীয় ফল কাঁঠাল

[সংকেত: ভূমিকা, প্রাপ্তিস্থান, কাঁঠালের বর্ণনা, ফলনের সময়, চাষের নিয়ম, উপকারিতা, অপকারিতা ও উপসংহার।]

ভূমিকা: ফুলের দেশ, ফলের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এখানে বিভিন্ন ঋতুতে অসংখ্য ফলের সমারোহ দেখা যায়। এই অসংখ্য ফলের মধ্যে কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল।

প্রাপ্তিস্থান: কাঁঠাল বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার আদিম ফল। বাংলাদেশের ঢাকা, গাজীপুর, সিলেট, রংপুর, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল পাওয়া যায়।

কাঁঠালের বর্ণনা: কাঁঠালের সারা গায়ে ছোট ছোট কাঁটা থাকে। কাঁঠাল ছোট-বড় নানা আকৃতির হয়। দেখতে কিছুটা গোলাকার, আবার লম্বাটে আকৃতির কাঁঠালও দেখা যায়।

ফলনের সময়: কাঁঠাল উঁচু জমির ফল। যেখানে বৃষ্টির পানি জমে না, সেখানে কাঁঠাল গাছ ভালো জন্মে। ফাল্গুন মাসে কাঁঠালের গাছে অঙ্কুর দেখা দেয় এবং ক্রমে তা বড় হয়ে পূর্ণ কাঁঠালে রূপ নেয়। সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসে কাঁঠাল পাকতে শুরু করে।

চাষের নিয়ম: উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু কাঁঠাল চাষের জন্য উপযোগী। এঁটেল-দোআঁশ মাটি কাঁঠাল চাষের জন্য ভালো। কাঁঠালের বিচি কোষসুদ্ধ বা কোষ ছাড়া দুভাবেই রোপণ করা যায়।

উপকারিতা: কাঁঠাল স্বাদে-গন্ধে একটি অনন্য ফল। কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খাওয়া যায়। কাঁঠাল এমন একটি ফল, যার বিচিও নানাভাবে খাওয়া যায়।

অপকারিতা: কাঁঠাল মুখরোচক হলেও এটি গুরুপাক খাদ্য। কাঁঠাল সহজে হজম হয় না। কাঁঠালই সবচেয়ে আমিষসমৃদ্ধ ফল।

উপসংহার: কাঁঠাল বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। শরীরে প্রচুর পুষ্টি জোগায় কাঁঠাল। গুণে-মানে অনন্য বলে এটি আমাদের জাতীয় ফল।