অধ্যায় ২
প্রশ্ন: বাট্টা কী?
উত্তর: চুক্তি অনুসারে বা প্রচলিত নিয়ম অনুসারে পণ্যের স্বাভাবিক মূল্য অথবা প্রাপ্য বা দেয় টাকার পরিমাণ হতে যে অংশ বাদ দেওয়া হয়, তাকে বাট্টা বলে।
প্রশ্ন: খতিয়ান কী?
উত্তর: হিসাবের প্রাথমিক বই জাবেদা হতে সংক্ষিপ্ত আকারে ও শ্রেণিবদ্ধ অবস্থায় পৃথক পৃথক শিরোনামে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সকল লেনদেনসমূহ হিসাবের যে পাকা বইতে শ্রেণিবিন্যাস করে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং যাতে ব্যবসায়ের চূড়ান্ত ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা নির্ণয় সম্ভব, তাকে খতিয়ান বলে।
প্রশ্ন: নগদান বই কী?
উত্তর: দৈনন্দিন যেসব লেনদেন সংঘটিত হয় তার মধ্য হতে যেসব লেনদেন নগদ বা চেকে প্রাপ্তি বা পরিশোধের সাথে সংশ্লিষ্ট সে সমস্ত লেনদেন তারিখের ক্রমানুসারে প্রাথমিকভাবে যে হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে নগদান বই বলে।
প্রশ্ন: আর্থিক অবস্থা নির্ণয় কী?
উত্তর: দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পত্তি ও দায়ের হিসাব যথাযথভাবে রাখা হয়। ফলে যেকোনো সময় সকল সম্পত্তি ও দায়ের হিসাবগুলো একত্রিত করে আর্থিক অবস্থার বিবরণী তৈরি করা যায় এবং তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সঠিক আর্থিক অবস্থা নির্ণয় করা যায়।
প্রশ্ন: লিপিবদ্ধকরণ কী?
উত্তর: লেনদেন শনাক্তকরণের পর প্রাথমিক বই বা জাবেদায় ডেবিট-ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে লিপিবদ্ধ করাকে জাবেদাভুক্তকরণ বা লিপিবদ্ধকরণ বলে।
প্রশ্ন: সম্পত্তিবাচক হিসাব কী?
উত্তর: লেনদেনের মাধ্যমে ব্যবসায়ে কোনো সম্পত্তি আসলে উক্ত হিসাব ডেবিট এবং কোনো সম্পত্তি ব্যবসায় থেকে চলে গেলে তা ক্রেডিট হবে।
প্রশ্ন: নামিক হিসাব কী?
উত্তর: ব্যবসায়ের সমস্ত ব্যয়, খরচ বা ক্ষতিসংক্রান্ত হিসাব ডেবিট এবং আয় বা লাভসংক্রান্ত হিসাব ক্রেডিট হবে।
প্রশ্ন: আধুনিক পদ্ধতি বা হিসাব সমীকরণভিত্তিক পদ্ধতি কী?
উত্তর: আধুনিক হিসাববিজ্ঞানীরা হিসাব সমীকরণের সাহায্যে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের নিয়ম প্রচলন করেন, যাকে আধুনিক পদ্ধতি বা হিসাব সমীকরণ ভিত্তিক পদ্ধতি বলে। এ পদ্ধতিতে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের হিসাব সমীকরণ নিচে দেওয়া হলো:
হিসাব সমীকরণটি হলো: A = L+ OE /P