অধ্যায় ২
প্রশ্ন: দায় কী?
উত্তর: ভবিষ্যতে অর্থ পরিশোধ করতে হবে, এমন লেনদেনকে দায় বলে। অন্যভাবে বলা যায়, ব্যবসায়ের সম্পত্তির ওপর বাইরের ব্যক্তিদের দাবিকে দায় বলে। যেমন প্রদেয় হিসাব/পাওনাদার, প্রদেয় বিল, বকেয়া খরচ, অর্জিত আয় ইত্যাদি।
প্রশ্ন: মালিকানা স্বত্ব কী?
উত্তর: ব্যবসায়ের মালিকপক্ষের ব্যবসায়ের নিকট পাওনাকে মালিকানা স্বত্ব বলা হয়। ব্যবসায়ের মোট সম্পত্তি হতে বাহ্যিক দায়দেনা বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে তাকে মালিকের পাওনা বা মালিকানা স্বত্ব বলা হয়। মূলধন বিনিয়োগ, নিট আয়, মূলধনের সুদ ইত্যাদি দ্বারা মালিকানা স্বত্ব বৃদ্ধি পায়। অপর পক্ষে উত্তোলন ও নিট ক্ষতি দ্বারা মালিকানা স্বত্ব হ্রাস পায়।
প্রশ্ন: ব্যয় কী?
উত্তর: আয় অর্জন করতে গিয়ে পণ্য দ্রব্য ও সেবা বাবদ যা প্রদান করতে হয়, তাকে ব্যয় বলে। যেমন বেতন, মজুরি, প্রদত্ত ভাড়া ইত্যাদি। ব্যয় সাধারণত ডেবিট জের নির্দেশ করে। ব্যয় বৃদ্ধি পেলে ডেবিট এবং হ্রাস পেলে ক্রেডিট করতে হবে।
প্রশ্ন: আয় কী?
উত্তর: পণ্য দ্রব্য বা সেবার বিনিময়ে যে অর্থের আগমন ঘটে, তাকে আয় বলে। যেমন- ব্যবসায়ের প্রধান আয় হলো বিক্রয় বা সেবার আয়। আয় সাধারণত ক্রেডিট জের নির্দেশ করে। আয় বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট এবং হ্রাস পেলে ডেবিট করতে হবে।
প্রশ্ন: উত্তোলন কী?
উত্তর: মালিক কর্তৃক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো নগদ অর্থ, সম্পদ পণ্য বা সেবা গ্রহণ করাকে উত্তোলন বলে। যেমন নগদ উত্তোলন, পণ্য উত্তোলন, জীবন বিমার প্রিমিয়াম প্রদান ইত্যাদি।
প্রশ্ন: একতরফা দাখিলা পদ্ধতি কী?
উত্তর: যে হিসাব ব্যবস্থায় লেনদেনের কখনো একটি পক্ষ, কখনো দুটি আবার কখনো কোনো পক্ষই লিপিবদ্ধ হয় না, তাকে একতরফা দাখিলা পদ্ধতি বা অসম্পূর্ণ নথিব্যবস্থা বলে। এটি একটি অসম্পূর্ণ, অবাস্তব, অপরিপক্ব, দুরূহ ও জটিল ব্যবস্থা বলে মনে হয়। তৃতীয় কোনো পক্ষের নিকট এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা কম।
প্রশ্ন: ডেবিট কী?
উত্তর: হিসাবের সুবিধা গ্রহণকারী পক্ষকে ডেবিট বা গ্রহীতা বলে।
প্রশ্ন: ক্রেডিট কী?
উত্তর: হিসাবের সুবিধা প্রদানকারী পক্ষকে ক্রেডিট বা দাতা বলে।
বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, প্রভাষক
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা