হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্র | জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

অধ্যায় ২

প্রশ্ন: দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি কী?

উত্তর: যে পদ্ধতিতে অর্থের মাধ্যমে পরিমাপযোগ্য লেনদেনে এক পক্ষের নিকট হতে যে সুবিধা পায় এবং অপর পক্ষকে সমান মূল্যের সুবিধা প্রদান করে বলে স্বীকার করা হয়, তাকে দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি বলে। এটি একটি বিজ্ঞানসম্মত ও পূর্ণাঙ্গ হিসাবব্যবস্থা।

প্রশ্ন: হিসাব চক্র কী?

উত্তর: প্রতিষ্ঠানের লেনদেন চিহ্নিতকরণ ও লিপিবদ্ধকরণ হতে শুরু করে আর্থিক ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য প্রদানসংক্রান্ত হিসাববিজ্ঞানের এই প্রক্রিয়া প্রতিটি হিসাবকালে পর্যায়ক্রমিক বিভিন্ন ধাপে চক্রাকারে আবর্তিত হতে থাকে। হিসাববিজ্ঞানের এ চক্রাকার প্রক্রিয়া, পর্যায় বা ধারাবাহিক আবর্তন মেনে চলাকেই হিসাব চক্র বলে।

প্রশ্ন: নগদ কী?

উত্তর: একটি নির্দিষ্ট দিনে প্রতিষ্ঠানের নিকট যে পরিমাণ দেশি বা বিদেশি তৈরি মুদ্রা জমা হয় তাকে নগদ বলে।

প্রশ্ন: বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি কী?

উত্তর: বিজ্ঞান বলতে কোনো যুক্তির আলোকে বর্ণিত জ্ঞানকে বুঝায়। আর এ জ্ঞান যখন বাস্তবজীবনে সর্বজনগ্রাহ্য করার নিমিত্তে নিয়ম, বিধি বা সূত্র প্রয়োগ করা হয় তখন তাকে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি বলে।

প্রশ্ন: দ্বৈতসত্তা কী?

উত্তর: ১৪৯৪ খ্রিষ্টাব্দে ইটালির ধর্মযাজক ও গণিত শাস্ত্রবিদ লুকা ডি প্যাসিওলি হিসাব রক্ষণের বিজ্ঞান ভিত্তিক দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতির ওপর প্রথম বই প্রকাশ করেন। আধুনিক হিসাবরক্ষণের নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি লেনদেনে দুটি পক্ষ বা হিসাব খাত বিদ্যমান থাকে। এদের এক পক্ষকে গ্রহীতা বা Debit এবং অন্য পক্ষকে দাতা বা Credit বলা হয়। লেনদেনের এ প্রকৃতিকে দ্বৈতসত্তা বলা হয়।

প্রশ্ন: জাবেদা কী?

উত্তর: লেনদেন সংঘটিত হওয়া মাত্র তারিখ অনুসারে ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে যে প্রাথমিক বইতে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে জাবেদা বলে।

প্রশ্ন: মৌলিক হিসাবের বই কী?

উত্তর: লেনদেনগুলোকে মৌলিক আকারে, অর্থাৎ লেনদেন যে অবস্থায় সংঘটিত হয়েছে, ঠিক সেই অবস্থাতে জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়। এ কারণে জাবেদাকে মৌলিক হিসাবের বই বলা হয়।

প্রশ্ন: হিসাবের প্রাথমিক বই কী?

উত্তর: ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে লেনদেন সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারিখের ক্রমানুসারে ডেবিট ও ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে সর্বপ্রথম যে হিসাব বইসমূহে লিপিবদ্ধ করা হয়, সেই বইসমূহকে হিসাবের প্রাথমিক বই বলে।

বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল