অধ্যায় ৫
‘পিরামিড’ রচনায় লেখক যা বলেছেন, তা তোমার নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
নমুনা উত্তর: সৈয়দ মুজতবা আলী মিসর ভ্রমণের সময় পিরামিড দেখতে গিয়েছিলেন। পৃথিবীর অবাক করা প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে পিরামিড অন্যতম। মিসরের ভেতরে–বাইরে অনেক পিরামিড থাকলেও গিজে অঞ্চলের তিন পিরামিডই জগৎ-বিখ্যাত। লেখক এগুলোর বিবরণ তুলে ধরেছেন।
পিরামিড পৃথিবীর একটি আশ্চর্য নিদর্শন। যুগ যুগ ধরে পিরামিডের ভেতর ও বাইরের রহস্য উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করছে মানুষ। অনেকে পিরামিডের ভেতরে ঢুকতে চেয়েছে সম্পদের লোভে, কিন্তু তখনকার রাজমিস্ত্রিরা এমন কৌশলে তা বানিয়েছিলেন যে সহজে কেউ যেন সেখানে প্রবেশের রাস্তা না পান। এসব পিরামিড তৈরি হয়েছিল বিশাল পাথর কেটে, বড় বড় পাথরের টুকরা দিয়ে। সবচেয়ে বড় পিরামিড বানাতে মোট লেগেছিল ২৩ লাখ পাথরের টুকরা।
এটি বানাতে ১ লাখ লোকের ২০ বছর সময় লেগেছিল। ব্যয় হয়েছিল প্রচুর অর্থ।
ফারাওদের বিশ্বাস ছিল, মৃত্যুর পর মানুষের লাশ পচে বিনষ্ট হয়ে গেলে তাঁরা অনন্ত জীবনের অধিকারী হতে পারবেন না। তাই তাঁরা মৃতদেহকে বিশেষ কায়দায় ‘মমি’ বানিয়ে পিরামিডের ভেতর রেখে দিতেন। শক্ত পিরামিডের ভেতরে ঢুকে কেউ মমিকে ধ্বংস করা তো দূরের কথা, ছুঁতেও পারবে না। এতে তাঁদের দেহ বহুদিন অক্ষত থাকবে। তারপর তাঁরা আবার একদিন জীবন পাবেন। কিন্তু তাঁদের সেই আশা পূরণ হয়নি। কারণ, এরই মধ্যে মানুষ মমিকে স্পর্শ করতে পেরেছে এবং তা পিরামিড থেকে এনে জাদুঘরে রেখেছে। এখন দেখার বিষয় ভবিষ্যতে তাঁরা জীবন ফিরে পান কি না।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা