বাংলা - সপ্তম শ্রেণি

সপ্তম শ্রেণির পড়াশোনা

অধ্যায় ৫

কল্পনানির্ভর লেখা

প্রিয় শিক্ষার্থী, এই শিখন-অভিজ্ঞতায় এমন কিছু কার্যক্রম পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা অনুশীলন করে তোমরা কল্পনানির্ভর লেখার বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করতে পারবে, অন্যান্য ধরনের লেখার সাথে কল্পনানির্ভর লেখার পার্থক্য করতে পারবে, কল্পনানির্ভর লেখা পড়ে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করতে পারবে এবং এই অভিজ্ঞতার প্রতিফলন হিসেবে নিজেরা কল্পনানির্ভর লেখা প্রস্তুত করতে পারবে।

তোমরা কী কী কাজ করতে পারো:

∎ কল্পনানির্ভর বিষয়ের ধারণা নিয়ে অভিজ্ঞতা ও মতামত নিয়ে আলোচনা।

∎ ‘আমড়া ও ক্র্যাব নেবুলা’ রচনাটি পাঠ করা।

∎ ‘আমড়া ও ক্র্যাব নেবুলা’ রচনার ধারণা ও বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা।

∎ ‘আমড়া ও ক্র্যাব নেবুলা’ লেখায় লেখকের বক্তব্যের সাথে নিজের ধারণার মিল-অমিল বিশ্লেষণ করা।

∎ কল্পনানির্ভর লেখার ধারণা নিয়ে আলোচনা।

∎ কল্পনানির্ভর লেখার বিষয়বস্তু নির্ধারণ এবং কল্পনানির্ভর লেখা প্রস্তুত করা।

শিক্ষার্থী, আমরা মাঝেমধ্যে কল্পনার জগতে বিচরণ করতে ভালোবাসি। এটা আমাদের মনে শিহরণ জাগায়। এসো এখন আমরা কল্পনার জগতে ডুব দিই। তোমরা চোখ বন্ধ করে নিচের কথাগুলো ভেবে দেখো। যদি ব্যাপারগুলো আসলেই ঘটত তাহলে তা দেখতে কেমন হতো।

∎ ধরো, আমাদের সবার ঘরে এমন একটা যন্ত্র আছে, যেটা চালু করলে একটা দরজার মতো পথ তৈরি হয় এবং সে দরজা দিয়ে আমরা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে মুহূর্তের মধ্যেই পৌঁছে যেতে পারি! স্কুলে আগে যেমন সবাই হেঁটে বা বিভিন্ন যানবাহনে আসতাম এখন আর সেভাবে না এসে ওই দরজা দিয়ে দ্রুত চলে আসি!

∎ আবার এমন একটা যন্ত্র থাকলে কেমন হতো, যেটা দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর ভাষা বুঝতে পারতাম! চিন্তা করো তো মোবাইল ফোনের মতো একটা যন্ত্র হাতে নিয়ে আছ,

সেটা যখনই কোনো প্রাণীর দিকে তাক করছ অমনি ওই প্রাণীর ডাক ভাষায় রূপান্তর করে দিচ্ছে!

জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা