প্রশ্ন: কিসের আশায় বীর মরণকে বরণ করছে?
উত্তর: লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য বীরেরা মৃত্যুর মতো কঠিন যন্ত্রণাকেও সাদরে গ্রহণ করে থাকে। রহস্য ভেদ করা, নতুন কিছু সৃষ্টি করা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ী হয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা এবং অজানাকে জানার আশায় বীর মরণকে বরণ করছে।
প্রশ্ন: কবি হাতের মুঠোয় পুরে কী এবং কেন দেখতে চান?
উত্তর: কবি হাতের মুঠোয় পুরে বিশ্বজগৎ দেখতে চান। কারণ, পুরো বিশ্বজগতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অনেক রহস্য। অজানা সেসব রহস্য ভেদ করে তিনি সত্যিটা জানতে চান। আবিষ্কার করতে চান অসীম আকাশের সব অজানা রহস্য। বুঝতে চান কেন মানুষ অতলে, অন্তরীক্ষে, অসীমে ছুটছে। এই জানার মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর অদম্য কৌতূহলের সফল প্রকাশ দেখতে চান।
প্রশ্ন: সংকল্প কবিতায় কবি কী কী সংকল্প করেছেন? কবির সংকল্পগুলো লেখো।
উত্তর: ‘সংকল্প’ কবিতায় কবি অনেকগুলো সংকল্প করেছেন। কবির সংকল্পগুলো নিচে লেখা হলো:
১. জগত্টাকে ঘুরে দেখবেন।
২. যুগ থেকে যুগে মানুষ কীভাবে বেঁচে আসছে, তা বুঝতে চেষ্টা করবেন।
৩. এক দেশ থেকে আরেক দেশে মানুষ কেন ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছে, তা দেখবেন।
৪. অনেক সাহসী মানুষ কেন বিপদ তুচ্ছ করে নানান কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে, মৃত্যু পর্যন্ত বরণ করছে, সেসব তিনি দেখবেন।
৫. সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে ডুবুরি কীভাবে মুক্তা সংগ্রহ করে, কিংবা দুঃসাহসী বৈমানিক কীভাবে আকাশে পাড়ি জমায়, তা তিনি জানবেন।
৬. রকেটে চড়ে কে বা কারা চাঁদের দেশে যেতে চায়, কিংবা মঙ্গল গ্রহ থেকে আমাদের পৃথিবীর বুকে কোনো সংকেত ভেসে আসছে কি না, তা–ও তিনি জানতে চান।
৭. মাটির নিচে পাতালে কী আছে বা মাটির ওপরে আকাশে কী আছে, তা জানার জন্য তিনি পাতাল ও মহাকাশে অভিযান চালাবেন।
৮. তিনি সারা পৃথিবী জয় করবেন, নিজের হাতের মুঠোয় পুরে নিয়ে পৃথিবীকে নেড়েচেড়ে পরীক্ষা করে দেখবেন।
প্রশ্ন: কবি পাতাল ফেড়ে নামতে চান কেন?
উত্তর: পাতাল বলতে আমরা সাগরের তলদেশ বা মাটির নিচের দেশকে বুঝে থাকি। মহাকাশের মতো পাতালপুরীও এক অজানা রহস্যঘেরা জায়গা। অসীম বিশ্বকে জানার অদম্য কৌতূহলী কবি মাটির নিচে পাতালে কী আছে, তা জানার জন্য পাতাল ফেড়ে সেখানে নামতে চায়। পাতালের অজানা রহস্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে কৌতূহল মেটাতে চান।
প্রশ্ন: বীর ডুবুরি কী করে?
উত্তর: গভীর পানিতে ডুব দিয়ে যারা কোনো জিনিস উদ্ধার করে আনে তাদের ডুবুরি বলা হয়। ‘সংকল্প’ কবিতায় কবি ডুবুরিদের বীর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বীর ডুবুরিরা নদী বা সমুদ্রের তলদেশ থেকে মুক্তা সংগ্রহ করে। নদী বা সমুদ্রের গভীর তলদেশে কোনো নৌকা, লঞ্চ বা জাহাজ নিমজ্জিত হলে বীর ডুবুরিরা তা উদ্ধার করে।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা