'মডেল টেস্টের মাধ্যমে আমার রিভিশনটা হয়ে যায়'

প্রথম আলো-পড়াশোনা আয়োজিত এইচএসসি মডেল টেস্ট ২০২৩-এর সর্বোচ্চ অংশগ্রহণকারী

প্রথম আলো-পড়াশোনা আয়োজিত এইচএসসি মডেল টেস্ট ২০২৩-এর দ্বিতীয় সপ্তাহের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণকারী হয়েছেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ের মোহাম্মদ তারজেন মিয়া, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের মোহাম্মদ পারভেজ ও রাজশাহীর সাপাহারের মিফতাহুল জান্নাত প্রমি। শুভকামনা তাঁদের জন্য। 

মডেল টেস্ট শুরু হয় ১৬ জুলাই থেকে। চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পরীক্ষার দিনগুলোতেও শিক্ষার্থীরা চাইলে মডেল টেস্টে অংশ নিতে পারবে। মডেল টেস্টে অংশ নিতে এই লিংকে (prothomalo.com/ModelTest) গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, তারপর লগইন করতে হবে।

প্রথম সর্বোচ্চ অংশগ্রহণকারী

এ ব্যাপারে তারজেন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, আমি এবার চট্টগ্রামের হাজেরা তজু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেব।  প্রথম আলোর এইচএসসি মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করে আমি আমার প্রস্তুতি যাচাই করতে সক্ষম হয়েছি। আবার মডেল টেস্টের মাধ্যমে আমার রিভিশনটা হয়ে যায়। এমন ভালো একটি উদ্যোগের জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অংশগ্রহণকারী

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, আমার বাসা গ্রামে, এখানে শহরের মতো পড়াশোনা এবং অনুশীলনের নানামুখী সুযোগ কম। সামনে পরীক্ষা, তাই আর্থিকভাবে একটু কষ্ট হলেও বাসায় বলে একটি প্রাইভেটে ভর্তি হয়েছি। যেখানে মাঝেমধ্যে মডেল টেস্ট নেয়। প্রথম আলোর মাধ্যমে যে মডেল টেস্টের আয়োজন করা হয়েছে, তার ফলে একদিকে যেমন মাস্টার ট্রেইনারদের তৈরি করা প্রশ্নগুলো পাচ্ছি, তেমনি অনলাইনে ফ্রিতে মডেল টেস্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করায় আমি অনেক উপকৃত হচ্ছি। তিনি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের ধাপেরহাট বিএমপি বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

তৃতীয় সর্বোচ্চ অংশগ্রহণকারী

তৃতীয় সর্বোচ্চ অংশগ্রহণকারী মিফতাহুল জান্নাত প্রমি থাকেন রাজশাহীর সাপাহারে। তিনি এবার নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন। মডেল টেস্টের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেব। আমার প্রথম আলোর পড়াশোনা পাতা নিয়মিত পড়া হয়, সেখান থেকেই জানতে পারি মডেল টেস্ট সম্পর্কে। আপনাদের এখানে কোয়েশ্চেন প্যাটার্ন খুব ভালো ছিল। আসলে পড়াশোনা তো সব সময়ই করা হয় কিন্তু পরীক্ষা তেমন দেওয়া হয় না। মডেল টেস্ট দিয়ে জানতে পারি আমার প্রিপারেশনটা কেমন। সেক্ষেত্রে এটা একটা ভালো উদ্যোগ, আমার মতো যারা তাঁদের অনেক কাজে লাগবে।

আরও পড়ুন