অধ্যায় ৬
P ও Q উভয় মৌলের প্রোটন সংখ্যা ৮, কিন্তু ভরসংখ্যা যথাক্রমে ১৬ ও ১৭। আবার R মৌলের প্রোটন সংখ্যা ৯ কিন্তু প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফল ১৭।
প্রশ্ন
ক. নিষ্ক্রিয় পরমাণু কী?
খ. অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা ৮ বলতে কী বোঝায়?
গ. P ও Q মৌলের ইলেকট্রন ও নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয় করো।
ঘ. P ও Q পরস্পর আইসোটোপ কিন্তু Q ও R পরস্পর আইসোটোপ নয়—বিশ্লেষণ করো।
উত্তর
ক. কোনো পরমাণুর শেষ কক্ষপথে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকতে পারে, সেই কক্ষপথে যদি ততগুলো ইলেকট্রন থাকে, তাহলে ওই পরমাণুকে নিষ্ক্রিয় পরমাণু বলে।
খ. কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান প্রোটনের সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে। পারমাণবিক সংখ্যার সাহায্যে মৌলের প্রোটন সংখ্যা ও ইলেকট্রন সংখ্যা জানা যায়। তাই অক্সিজেনের পারমাণবিক সংখ্যা ৮ বলতে বোঝায় অক্সিজেনের পরমাণুতে ৮টি প্রোটন ও ৮টি ইলেকট্রন আছে।
গ. কোনো মৌলের ইলেকট্রন সংখ্যা = প্রোটন সংখ্যা
আবার নিউট্রন সংখ্যা = ভরসংখ্যা - প্রোটন সংখ্যা
এখানে,
P মৌলের প্রোটন সংখ্যা = ৮
P মৌলের ভরসংখ্যা = ১৬
P মৌলের ইলেকট্রন সংখ্যা = ৮
এবং মৌলের নিউট্রন সংখ্যা = ১৬ - ৮ = ৮
আবার,
Q মৌলের প্রোটন সংখ্যা = ৮
Q মৌলের ভরসংখ্যা = ১৭
Q মৌলের ইলেকট্রন সংখ্যা = ৮
এবং Q মৌলের নিউট্রন সংখ্যা = ১৭ - ৮ = ৯
ঘ. কোনো মৌলের ভিন্ন ভরসংখ্যাবিশিষ্ট পরমাণুকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে। অর্থাৎ আইসোটোপসমূহ একই মৌলের পরমাণু। তাই আইসোটোপসমূহের পারমাণবিক সংখ্যা তথা প্রোটন সংখ্যা একই হয়, তবে ভরসংখ্যা ভিন্ন হয়। উদ্দীপক থেকে দেখা যায়, উভয় মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা তথা প্রোটন সংখ্যা হলো ৮ এবং ভরসংখ্যা যথাক্রমে ১৬ ও ১৭। তাই P ও Q পরস্পরের আইসোটোপ। অন্যদিকে Q ও R মৌলের ভরসংখ্যা ১৭, অর্থাৎ একই। কিন্তু এদের পারমাণবিক সংখ্যা তথা প্রোটন সংখ্যা এক নয়। তাই Q ও R মৌল পরস্পরের আইসোটোপ নয়।
মোহাম্মদ আক্তার উজ জামান, প্রভাষক, সরকারি রূপনগর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা