অধ্যায় ১
১৫. প্রশ্ন: শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস বলতে কী বোঝ? কোন তারিখে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়? দিবসটি পালনের ৪টি কারণ লেখো।
উত্তর: মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা নেয় পাকিস্তানি বাহিনী। সেই পরিকল্পনা অনুসারে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের তারা নৃশংসভাবে হত্যা করে। বুদ্ধিজীবী হত্যার চূড়ান্ত দিনটিকে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের ৪টি কারণ—
ক. শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া
খ. তাঁদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করা
গ. মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের অবদানের কথা নতুন প্রজন্মকে জানানো
ঘ. বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগানো।
১৬. প্রশ্ন: অপারেশন সার্চলাইট কী? কার নির্দেশে এ আক্রমণ করা হয়? পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে ৪টি বাক্য লেখো।
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে একযোগে আক্রমণ করে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। এই আক্রমণের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন সার্চলাইট। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার নির্দেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এ আক্রমণ চালায় ২৫ মার্চ রাতে।
পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে নিচে ৪টি বাক্য দেওয়া হলো—
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, ইপিআর সদর দপ্তর পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও শিক্ষকদের বাসভবনসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে একযোগে আক্রমণ করে। সেই ভয়াল রাতে হানাদার বাহিনী দেশের অন্য বড় বড় শহরেও আক্রমণ চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, পুলিশ ও ইপিআর সদস্যসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। যা গণহত্যার শামিল। ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি শহিদ হন।
রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা