অধ্যায় ২
‘কত দিকে কত কারিগর’ গল্পটি সৈয়দ শামসুল হকের লেখা। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য তাঁকে সব্যসাচী লেখক বলা হয়। সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৬ সালে মারা যান।
‘কত দিকে কত কারিগর’ গল্পের বিষয়বস্তু
বিভিন্ন ধরনের লোকশিল্প ও লোকসংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ হয়ে আছে বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন। প্রাচীনকাল থেকে এ দেশের আনাচেকানাচে বিভিন্ন লোকশিল্পের চর্চা হয়ে আসছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে মাটির গড়া শিল্প। যাঁরা মাটির গড়া শিল্পে কাজ করেন, তাঁরা কুমোর হিসেবে পরিচিত। ‘কত দিকে কত কারিগর’ গল্পে লেখক কুমোরদের শিল্পী মানসিকতার পরিচয় সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। আগে কুমোরগণ শুধু মাটির তৈজসপত্র তৈরি করতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের কাজে বৈচিত্র্য আসে। তাঁরা মাটি দিয়ে নির্মাণ করতে শুরু করেন বিখ্যাত ব্যক্তিদের অবয়ব। পালমশাই তেমন একজন জাতশিল্পী। তাঁর তত্ত্বাবধানে অন্য কুমারগণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, লালন ফকির, মাওলানা ভাসানীসহ বিখ্যাত ব্যক্তিদের অবয়ব গড়ে তোলেন। এসব কাজে কুমোর শিল্পীদের নিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র, শিক্ষকবিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা