সংক্ষেপে জেনে রাখি - কোষপ্রাচীর, কোষঝিল্লি, ইন্টারফেরন, সাইটোপ্লাজম

কোষপ্রাচীর

কোষপ্রাচীর উদ্ভিদকোষের একটি বৈশিষ্ট্য। প্রাণিকোষে কোষপ্রাচীর থাকে না। কোষপ্রাচীরের রাসায়নিক গঠন বেশ জটিল, এতে সেলুলোজ, হেমিসেলুলোজ, লিগনিন, পেকটিন ও সুবেরিন নামের রাসায়নিক পদার্থ থাকে। কোষপ্রাচীর কোষকে দৃঢ়তা প্রদান করে, কোষের আকার ও আকৃতি বজায় রাখে। ১৬৬৫ সালে রবার্ট হুক প্রথম কোষ পর্যবেক্ষণকালে একটি উদ্ভিদকোষে প্রাচীর দেখতে পান।

কোষঝিল্লি

প্রোটোপ্লাজমের বাইরে দুই স্তরের যে স্থিতিস্থাপক পর্দা থাকে, তাকে কোষঝিল্লি বা প্লাজমালেমা বলে। কোষঝিল্লির ভাঁজকে মাইক্রোভিলাই বলে। এটি প্রধানত লিপিড ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি। কোষঝিল্লি একটি বৈষম্যভেদ্য পর্দা হওয়ায় এটি অভিস্রবণের মাধ্যমে পানি ও খনিজ লবণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এবং পাশাপাশি কোষগুলোকে পরস্পর থেকে আলাদা করে রাখে।

ইন্টারফেরন 

ইন্টারফেরন হলো প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিন। কোনো দেহকোষ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ইন্টারফেরন নিঃসৃত হয়। বহিরাগত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, বিষ ও অন্য কোনো বস্তু ইত্যাদির আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি দেহে একটি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকে, এটি দেহের প্রতিরক্ষা তন্ত্র। এআইজে লিন্ডেনম্যান ১৯৫৭ সালে ইন্টারফেরন আবিষ্কার করেন।

সাইটোপ্লাজম

প্রোটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকাকে সরিয়ে দিলে জেলির মতো যে অংশটি থেকে যায়, সেটিই সাইটোপ্লাজম। এই সাইটোপ্লাজমের মধ্যে অনেক ধরনের অঙ্গাণু থাকে। এদের প্রতিটির কাজ আলাদা হলেও একে–অপরের ওপর নির্ভরশীল। এই অঙ্গাণুগুলোর কোনো কোনোটি ঝিল্লিযুক্ত আবার কোনো কোনোটি ঝিল্লিবিহীন।

আরও পড়ুন