প্রশ্নোত্তর
১। প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে নদীভাঙনের প্রবণতা রয়েছে? কেন?
উত্তর: বাংলাদেশে অসংখ্য নদী রয়েছে। তাই এ দেশের অনেক জায়গাতেই নদীভাঙনের প্রবণতা দেখা যায়। নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ার ফলে আমাদের মূল্যবান কৃষিজমি, বাড়িঘর, বিলীন হয়ে যায়।
IRIN–এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের নদীভাঙনের প্রবণতা বেশি রয়েছে পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও যমুনা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলসমূহে।
বন্যা নদীভাঙনের একটি অন্যতম প্রাকৃতিক কারণ। বন্যার অতিরিক্ত পানির স্রোত ও ঢেউ নদীর পাড়ে আঘাত হানে, ফলে বন্যার সময় নদীভাঙন শুরু হলে তা মারাত্মক রূপ ধারণ করে। নিচের মানবসৃষ্ট কারণগুলোও নদীর পার ভাঙনের জন্য দায়ী—
১. নদী থেকে বালু উত্তোলন
২. নদীর তীরবর্তী গাছপালা কেটে ফেলা।
২। প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে খরা বেশি হয়?
উত্তর: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে দীর্ঘকাল ধরে শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত এবং অল্পসংখ্যক নদী থাকার কারণে খরার প্রবণতা বেশি। যেমন: দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ইত্যাদি।
খরার মানবসৃষ্ট ক্ষতির কারণগুলো হলো:
১. গাছ কেটে ফেলা (গাছের শিকড় মাটির মধ্যকার পানি ধরে রাখে)।
২. অধিক হারে ভবন নির্মাণের ফলে মাটি কংক্রিটে ঢেকে যায় কিন্তু এই কংক্রিট পানি ধরে রাখতে পারে না।
৩. কলকারখানার মাধ্যমে বায়ুদূষণের ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যায়।
রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা