অধ্যায় ৬
P মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ১১ ও ভরসংখ্যা ২৩। অন্যদিকে Q মৌলের ইলেকট্রন সংখ্যা ১৭ ও ভরসংখ্যা ৩৫।
প্রশ্ন
ক. সংকেত কাকে বলে?
খ. হিলিয়াম নিষ্ক্রিয় কেন?
গ. P মৌলের নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয় করো।
ঘ. P ও Q দ্বারা গঠিত যৌগের আয়নিক গঠন ব্যাখ্যা করো।
উত্তর
ক. কোনো মৌল বা যৌগের অণুর সংক্ষিপ্ত রূপকে সংকেত বলে।
খ. একটি পরমাণুর সর্বশেষ কক্ষপথে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকতে পারে, ঠিক সেই কয়টি যদি থাকে তাহলে কক্ষপথটি পূর্ণ থাকে। এ রকম পরমাণুগুলো বেশ নিষ্ক্রিয় হয়। হিলিয়াম পরমাণুতে ২টি ইলেকট্রন থাকে। প্রথম কক্ষপথে যেহেতু সর্বোচ্চ ২টি ইলেকট্রন থাকতে পারে, সেহেতু হিলিয়াম পরমাণু বেশ স্থিতিশীল। এ কারণে হিলিয়ামকে নিষ্ক্রিয় বলা হয়।
গ. P মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ১১। সুতরাং মৌলটি সোডিয়াম। আমরা জানি, কোনো মৌলের পারমাণবিক সংখ্যাই হলো প্রোটন সংখ্যা। আবার একটি পরমাণুতে ইলেকট্রন ও প্রোটন সংখ্যা সমান থাকে। সুতরাং সোডিয়ামের প্রোটন সংখ্যা ১১ ও ইলেকট্রন সংখ্যা ১১।
সোডিয়ামের ভরসংখ্যা ২৩।
আর ভরসংখ্যা হলো পরমাণুর প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার সমষ্টি।
সুতরাং সোডিয়ামের নিউট্রন সংখ্যা
২৩-১১ = ১২
ঘ. উল্লিখিত P মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ১১ হওয়ায় এটি সোডিয়াম এবং Q মৌলের ইলেকট্রন সংখ্যা ১৭ হওয়ায় এটি ক্লোরিন। এ মৌল দুটি ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে আয়নিক বন্ধনের সাহায্যে আয়নিক যৌগ NaCl তৈরি করে।
Na (১১) এর ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ১
Cl (১৭) এর ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ৭
সোডিয়াম পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ১টি ইলেকট্রন বিদ্যমান। সর্বশেষ শক্তিস্তরে ১টি ইলেকট্রন থাকায় সোডিয়াম পরমাণু স্থিতিশীল নয়। তাই স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য এই পরমাণুটি ১টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আধানযুক্ত Na+ ক্যাটায়নে পরিণত হয়।
অন্যদিকে ক্লোরিন পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ৭টি ইলেকট্রন থাকায় এটিও স্থিতিশীল নয়। তাই স্থিতিশীলতা অর্জনের উদ্দেশ্যে ক্লোরিন পরমাণু ১টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আধানযুক্ত Cl- অ্যানায়নে পরিণত হয়।
ক্লোরিন ও সোডিয়াম পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ ও ত্যাগ করার মাধ্যমে অ্যানায়ন ও ক্যাটায়নে পরিণত হয় যা একটি আকর্ষণ বলের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যৌগ গঠন করে।
মোহাম্মদ আক্তার উজ জামান, প্রভাষক, সরকারি রূপনগর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
◀ সৃজনশীল প্রশ্ন (১)