সপ্তম শ্রেণির নতুন বই - ডিজিটাল প্রযুক্তি | সাইবার অপরাধের রকমসকম

সপ্তম শ্রেণির পড়াশোনা

সাইবার অপরাধের রকমসকম

সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জানতে গিয়ে আমরা নতুন নতুন কিছু শব্দের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি।

শব্দগুলো সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হলো:

১. সাইবার নিরাপত্তা: সাইবার আক্রমণ থেকে ডেটা, কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক এবং বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনকে সুরক্ষা দেওয়ার পদ্ধতিকে সাইবার সিকিউরিটি বা সাইবার নিরাপত্তা বলে।

২. সাইবার বুলিং: ইন্টারনেটে বা বিশেষ করে কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যদি অন্যকে গালমন্দ করা বা তার কোনো ছবি বা বক্তব্য নিয়ে কটূক্তি করা হয়, তাহলে সেটি একধরনের সাইবার অপরাধ। আর এই অপরাধকে সাইবার বুলিং বলে।

৩. হ্যাকিং: হ্যাকিং অর্থ হলো কাউকে না বলে তার ইলেকট্রনিক ডিভাইসে (কম্পিউটার, মুঠোফোন, ট্যাবলেট, পিসি ইত্যাদি) ঢুকে পড়া। কম্পিউটারের মধ্যে থাকা কোনো সফটওয়্যার ডিজাইনের সাধারণ পরিবর্তনকেও হ্যাকিং হিসেবে ধরা যেতে পারে।

৪. গুজব ছড়ানো: কোনো ঘটনার প্রকৃত সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে প্রচার করাকে গুজব বলে।

৫. ফিশিং: প্রতারণা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করাকে ফিশিং বলে। ফিশিংয়ের মাধ্যমে সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকসেস কোড, পিন নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ই-মেইলের পাসওয়ার্ড চুরি করে থাকে।

৬. স্প্যামিং: ই-মেইল অ্যাকাউন্টে অজানা, অপ্রয়োজনীয়, বিরক্তিকর কিছু ই-মেইল পাওয়া যায়, যাকে স্প্যাম বলে। অবাঞ্ছিত ই- মেইল প্রেরণ করাকে স্প্যামিং বলা হয়।

৭. স্পুফিং: কোনো কম্পিউটার ব্যরহারকারী বা সিস্টেমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কৌশল অবলম্বন করে প্রতারণা করার কৌশলকে স্পুফিং বলে।

৮. স্নিফিং: কম্পিউটার ব্যবহারকারী বা সিস্টেমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চোখ এড়িয়ে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক সিস্টেমে প্রবেশ করে তার প্রয়োজনীয় তথ্য নিজের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে স্নিকিং বলে।

আরও পড়ুন

৯. হ্যাকিং: সাধারণত অনুমতি ব্যতীত কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে কম্পিউটার ব্যবহার করা অথবা কোনো কম্পিউটারকে তার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়াকে হ্যাকিং বলে।

১০. সাইবার আক্রমণ: সাইবার আক্রমণ এক ধরনের ইলেকট্রনিক আক্রমণ, যাতে অপরাধীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কারও সিস্টেমে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে ফাইল, প্রোগ্রাম কিংবা হার্ডওয়্যার ধ্বংস বা ক্ষতি সাধন করে একে সাইবার আক্রমণ বলা হয়।

১১. সাইবার চুরি: অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তথ্য চুরির সঙ্গে সঙ্গে অনেক সময় টাকাপয়সাও চুরি হয়। এ ক্ষেত্রে অপরাধীরা কোনো নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকে এবং ইউজার কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত তথ্য ডেটাবেইসের কপি তৈরি করে। পরে সেই তথ্যগুলো ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে কারও অ্যাকাউন্ট থেকে তার সব টাকা নিজ অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নেয়।

১২. সফটওয়্যার পাইরেসি: সফটওয়্যার পাইরেসি বলতে প্রস্তুতকারীর বিনা অনুমতিতে কোনো সফটওয়্যার কপি করা, নিজের নামে বিতরণ করা কিংবা কোনো প্রকার পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া ইত্যাদি কার্যক্রমকে সফটওয়্যার পাইরেসি বলে।

১৩. প্লেজিয়ারিজম: ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত কোনো তথ্য বা গবেষণার অংশ বা অনুলিপি ডাউনলোড করা বা সূত্র/উত্স উল্লেখ না করে ব্যবহার করা হলো প্লেজিয়ারিজম।

প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন