অধ্যায় ১
মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করি :
মানুষমাত্রই একটি পরিবারের অংশ। পরিবারের সবার সঙ্গে সবার কথা বলতে হয়। আত্মীয় ও প্রতিবেশীর সঙ্গেও কথা বলার দরকার হয়ে থাকে। এ ছাড়া সহপাঠীর সঙ্গে, শিক্ষকের সঙ্গে, বন্ধুর সঙ্গে, দোকানদারের সঙ্গে, অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে নানা সময় কথা বলার দরকার হয়। কিন্তু সবার সঙ্গে এই যোগাযোগের ধরন এক রকমের নয়। তা ছোটদের সঙ্গে এক রকম, সমবয়সীদের সঙ্গে এক রকম, বড়দের সঙ্গে এক রকম, আবার অপরিচিত লোকের সঙ্গে আরেক রকম হয়।
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মানুষের মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত বলে তোমার মনে হয়, সেগুলো
নিচে লেখো।
নমুনা উত্তর:
ক. ব্যক্তির বয়স ও তার সঙ্গে সম্পর্কের ধরন অনুযায়ী সম্বোধন করা।
খ. উচ্চ স্বরে বা অনেক নিচু স্বরে কথা না বলা।
গ. কথা বলার সময় অসম্মানজনক অঙ্গভঙ্গি না করা।
ঘ. অন্য ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নেওয়া।
ঙ. প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে কথা বলা।
চ. কথোপকথনের সময় কতটা ব্যয় হচ্ছে, তা বিবেচনায় রাখা।
ছ. চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা।
জ. ব্যক্তিগত প্রশ্ন না করা।
ঝ. সম্মানজনক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।
ঞ. স্থান ও পরিস্থিতির রীতিনীতি বিবেচনা করা।
একটি ছক পূরণ করো
একটি ছক দেয়া হবে। তুমি যেভাবে পরিবার ও পরিবারের বাইরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করো, সে অনুযায়ী প্রদত্ত ছকটি পূরণ করবে। আগামীকাল ছকটির একটি নমুনা উত্তর ছাপা হবে।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা