অধ্যায় ৩
যতিচিহ্নের কাজ
কোলন (:): একটি পূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে হলে কোলন ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া উদাহরণ উপস্থাপনের সময়ও কোলন বসে। যেমন:
সভায় সিদ্ধান্ত হলো: এক মাস পর নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে। যোগাযোগের দুটি রূপ: ভাষিক যোগাযোগ ও অভাষিক যোগাযোগ।
ড্যাশ (—): এক বাক্যের ব্যাখ্যা পরের বাক্যে করা হলে দুই বাক্যের মাঝে ড্যাশচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর—নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাহিত্যিক।
হাইফেন (-): দুটি শব্দকে এক করতে কিংবা সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়। যেমন: মা-বাবার কথা মেনে চলা উচিত।
উদ্ধৃতিচিহ্ন (‘ ’): কারও কথা সরাসরি দেখানোর জন্য উদ্ধৃতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: শিক্ষক বললেন, ‘তোমরা বড় হয়ে সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।’
এ ছাড়া সাহিত্যের ব্যাখ্যায়, গণিতে ও শব্দ বা বাক্য সংক্ষেপ করার কিছু ক্ষেত্রেও এ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
বন্ধনী-চিহ্ন ( ), { }, [ ]: বন্ধনী-চিহ্ন গণিতে ব্যবহৃত হয়। তবে প্রথম বন্ধনীটি বিশেষ ব্যাখ্যামূলক অর্থে সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন: তিনি ত্রিপুরায় (বর্তমানে কুমিল্লা) জন্মগ্রহণ করেন।
বিন্দুচিহ্ন ( . ): শব্দের সংক্ষিপ্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিন্দুচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: তিনি পি.এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। রাজু এবার এস.এস.সি পাস করেছে।
আমিনুল ইসলাম, প্রভাষক, উত্তরা মডেল স্কুল, ঢাকা