বাংলা - সপ্তম শ্রেণি

সপ্তম শ্রেণির পড়াশোনা

অধ্যায় ৫

১ম পরিচ্ছেদ

শিখন অভিজ্ঞতা ৯: প্রায়োগিক বা ব্যবহারিক লেখা

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, এই শিখন অভিজ্ঞতায় তোমরা এমন কিছু কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে যাবে, যেখানে প্রায়োগিক সাহিত্যের নমুনা হিসেবে চিঠির বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত করবে, লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করবে এবং এই অভিজ্ঞতার প্রতিফলন হিসেবে নিজেরা চিঠি লেখার অনুশীলন করবে।

আরও পড়ুন

কার্যক্রম:

∎ প্রায়োগিক লেখার ধারণা নিয়ে পুনরালোচনা।

∎ চিঠি লেখা, পড়া বা এ নিয়ে যেকোনো পূর্ব অভিজ্ঞতার ওপর আলোচনা।

∎ পাঠ্যবইয়ে প্রদত্ত ‘চিঠি’ রচনা পাঠ ও আবৃত্তি।

∎ পাঠ্যবইয়ে প্রদত্ত ‘চিঠি’ রচনার ধারণা ও বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা।

∎ চিঠি লেখার জন্য বিবেচ্য নিয়ে আলোচনা ও পাঠ্যবইয়ে প্রদত্ত চিঠি বিশ্লেষণ।

∎ নিজে নিজে চিঠি লেখা।

প্রায়োগিক লেখা:

প্রায়োগিক অর্থ ব্যবহারিক। যেসব লেখা দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই প্রয়োগ বা ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকে প্রায়োগিক লেখা বলে। প্রায়োগিক লেখায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্ন, সুখ-দুঃখ ও প্রচারের কথা থাকে। যেমন: রোজনামচা, চিঠি, আবেদনপত্র, নিমন্ত্রণপত্র ইত্যাদি।

চিঠি:

চিঠি সবার কাছে পরিচিত। এটি প্রায়োগিক লেখার একটি উদাহরণ। একসময় দূরবর্তী যোগাযোগের প্রধান উপায় ছিল চিঠি। পরিবারের লোকজনের কাছে কিংবা পরিচিত মানুষের কাছে চিঠি লিখে খবর জানানো হতো, আবার চিঠি লিখে খবর জানতে চাওয়া হতো। চিঠি সাধারণত খামে ভরে পাঠানো হয়। খামের ওপরের বাঁ পাশে প্রেরকের নাম-ঠিকানা ও ডান পাশে প্রাপকের নাম-ঠিকানা লেখা হয়। আজকাল চিঠি লেখার প্রবণতা কমে যাচ্ছে, কিন্তু চিঠির আবেদন সব সময় থাকবে।

জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন