মাস্টার্স থাকলে গবেষণা ও উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য ফেলোশিপ, মাসে ৩০০ ডলারের সঙ্গে বিমান টিকিট

ছবি: UNESCO TWAS-এর সৌজন্যে

গবেষণা ও উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য টিডব্লিউএএস (TWAS-The World Academy of Sciences) ফান্ডেড ফেলোশিপের জন্য আবেদন চলছে। এই ফেলোশিপের আওতায় কৃষি, জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যা, ভূবিজ্ঞান (আর্থ সায়েন্স), ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত, মেডিকেল সায়েন্স ও মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়ে গবেষণা করা যাবে।

বাংলাদেশের স্পারসো, বারডেম, আইসিডিডিআরবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন—এসব প্রতিষ্ঠানের মতো অন্য ১৩৭টি উন্নয়নশীল দেশে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, সেখানে বাংলাদেশিরা গবেষণার সুযোগ পেতে পারেন।

এই ফেলোশিপের উদ্দেশ্য হলো সম্ভাবনাময় বিজ্ঞানীদের গবেষণাক্ষমতা বাড়ানো, বিশেষ করে যাঁরা এখনো গবেষণাজীবনের শুরুর দিকে আছেন, তাঁদের সহযোগিতা করা।

আরও পড়ুন

গবেষককে নিজ দেশ ব্যতীত অন্য কোনো উন্নয়নশীল দেশে গিয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এর ফলে বাংলাদেশি আবেদনকারীরা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করতে পারবেন না, তবে বাংলাদেশ ব্যতীত ১৩৭টি উন্নয়নশীল দেশের যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠানে গবেষণা ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

যেসব বিষয়ে গবেষণা করা যাবে

আরও পড়ুন

জেনে রাখুন

  • অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

  • আবেদনের শেষ তারিখ: ৯ অক্টোবর ২০২৩।

  • ফেলোশিপের সময়কাল: ৩ থেকে ১২ মাস।

  • প্রত্যেক ফেলো তুলনামূলক সস্তার বিমান টিকিট পাবেন এবং প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩০০ মার্কিন ডলার পাবেন। এর বাইরে আর কোনো সুবিধা টিডব্লিউএএস দেবে না।

  • যে প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করবেন, সেই প্রতিষ্ঠান চাইলে ফেলোদেরকে গবেষণার জন্য সুযোগ–সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে।

  • মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানে গবেষণার জন্য ফেলোশিপের আবেদন করা যাবে।

  • অনলাইনে আবেদনের লিংক: twas.org

যোগ্যতা

  • মাস্টার্স অথবা সমমানের ডিগ্রি।

  • প্রাকৃতিক বিজ্ঞান (ন্যাচারাল সায়েন্স)-এর ওপর গবেষণা করতে হবে। বিস্তারিত দেখতে ওপরে বর্ণিত বিষয়ের তালিকা দেখুন।

  • আবেদনকারীকে কোনো একটি উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক হতে হবে এবং নিজ দেশ অথবা অন্য আরেকটি উন্নয়নশীল দেশের গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতে হবে।

  • যেকোনো বয়স গ্রহণযোগ্য, তবে তুলনামূলক তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

আবেদন করতে যা যা লাগবে

  • আবেদনকারীর পাসপোর্টের স্ক্যান কপি, পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সেটা দিয়ে আবেদন করা যাবে।

  • সিভি, সর্বোচ্চ পাঁচ পৃষ্ঠার, এখানে আবেদনকারীর প্রকাশনা সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে।

  • আবেদনকারীর বর্তমান প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পক্ষ থেকে বিবৃতি।

  • আবেদনকারীর গবেষণাকর্ম সম্পর্কে ধারণা আছে, এমন দুজন জ্যেষ্ঠ গবেষকের রেফারেন্স লেটার।

  • মাস্টার্সের সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট।

  • যে প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করতে চান, সে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র।

বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইট: twas.org

যোগাযোগ

আরও পড়ুন