অধ্যায় ৪
P Q R
ভুট্টা ডালিয়া ছত্রাক
আম পটোল মস
কাঁঠাল মিষ্টি আলু ফার্ন
প্রশ্ন
ক. অঙ্গজ প্রজনন কাকে বলে?
খ. ধানকে কেন সস্যল বীজ বলা হয়?
গ. উদ্দীপকে Q চিহ্নিত কলামের উদ্ভিদগুলোর প্রজননপদ্ধতির বর্ণনা দাও।
ঘ. P ও Q কলামের উদ্ভিদগুলোর প্রজননপদ্ধতির মধ্যে কোনটি উন্নত? মতামত দাও।
উত্তর
ক. দেহ অঙ্গের মাধ্যমে যে প্রজনন হয়, তাকে সাধারণত অঙ্গজ প্রজনন বলা হয়। গাছের মূল, কাণ্ড, পাতা প্রভৃতি অঙ্গের মাধ্যমে অঙ্গজ প্রজনন হয়ে থাকে।
খ. সস্য হতেই ভ্রূণ খাদ্য আহরণ করে। অনেক উদ্ভিদে পরিণত বীজে সস্যটিস্যু বিদ্যমান থাকে। যেসব বীজে সস্য থাকে, তাকে সস্যল বীজ বলে। যেহেতু ধানে সস্য থাকে, এ জন্য ধানকে সস্যল বীজ বলা হয়।
গ. যে প্রক্রিয়ায় কোনো জীব তার নিজের অনুরূপ বংশধর সৃষ্টি করে, তাকে প্রজনন বলে। আর দেহ অঙ্গের মাধ্যমে সংঘটিত প্রজননকে বলা হয় অঙ্গজ প্রজনন।
উদ্দীপকে Q কলামের উদ্ভিদগুলো (ডালিয়া, পটোল, মিষ্টি আলু) মূলের সাহায্যে প্রজনন করে থাকে। এদের যেকোনো একটির মূল উপযুক্ত পরিবেশে লাগিয়ে দিলে তা থেকেই স্বাভাবিকভাবে নতুন গাছের জন্ম হয়। এ ধরনের প্রজননকে স্বাভাবিক অঙ্গজ প্রজনন বলে। সুতরাং Q কলামের উদ্ভিদগুলোর মূলের সাহায্যে স্বাভাবিক অঙ্গজ প্রজনন হয়।
ঘ. উদ্দীপকে P কলামের উদ্ভিদগুলোর (ভুট্টা, আম, কাঁঠাল) যৌন প্রজনন হয়। এই প্রক্রিয়ায় পুং গ্যামেট এবং স্ত্রী গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে নিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং নিষেকের মাধ্যমে বীজ উত্পন্ন হয়। অপর পক্ষে R কলামের উদ্ভিদগুলো (ছত্রাক, মস, ফার্ন) অণুবীজের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন হয়। যৌন ও অযৌন প্রজননের মধ্যে P কলামের উদ্ভিদগুলোর যৌন প্রজননপদ্ধতি অধিকতর উন্নত। কারণ, যৌন প্রজননের মাধ্যমে সৃষ্ট পরবর্তী বংশধরে যেসব বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়, সেগুলো হলো:
১. নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হতে পারে।
২. নতুন বংশধরের উত্পাদন ও অভিযোজনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৩. উত্পন্ন উদ্ভিদে নতুন বৈশিষ্ট্যের উন্মেষ ঘটে।
৪. এরা অধিক সহনশীল এবং অধিক জীবনীশক্তিসম্পন্ন হয়।
৫. সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় না।
৬. এদের ফল ও বীজ সুস্থ, সবল ও উন্নত গুণসম্পন্ন হয়ে থাকে।
৭. নতুন বংশধরের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
মোহাম্মদ আক্তার উজ জামান খান, প্রভাষক, রূপনগর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা