সপ্তম শ্রেণির নতুন বই - বাংলা | ষষ্ঠ অধ্যায় - কবিতা পড়ি ২: ময়নামতীর চর

সপ্তম শ্রেণির পড়াশোনা

৬ অধ্যায়

প্রিয় শিক্ষার্থী, এই শিখন-অভিজ্ঞতায় এমন কিছু কার্যক্রম পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা অনুশীলন করে তোমরা সাহিত্যের অন্যতম রূপ হিসেবে কবিতার সঙ্গে নিজের জীবন ও আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে পারবে, কবিতার বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করতে পারবে এবং নিজের কল্পনা ও অনুভূতি কাজে লাগিয়ে কবিতা লিখতে উৎসাহ পাবে।

প্রিয় শিক্ষার্থী, প্রথমে তোমরা পাঠ্যবই থেকে ‘ময়নামতীর চর’ কবিতাটি প্রথমে নীরবে পাঠ করো ও পরে সরবে আবৃত্তি করো। আবৃত্তি করার সময় প্রমিত উচ্চারণের বিষয়টি খেয়াল রাখবে। প্রয়োজনে কোনো মাধ্যম থেকে স্বীকৃত আবৃত্তিকারের আবৃত্তি শুনে নিতে পারো। কোনো শব্দের অর্থ বুঝতে সমস্যা হলে সেগুলো চিহ্নিত করে রাখবে। লেখাটিতে যেসব নতুন শব্দ খুঁজে পাবে, সেগুলো পাঠ্যবইয়ের ‘শব্দের অর্থ’ অংশ থেকে পড়ে নেবে। ‘শব্দের অর্থ’ অংশে প্রদত্ত শব্দের অর্থের বাইরে আরও কোনো শব্দের অর্থ জানতে তোমার শিক্ষক ও অভিধানের সাহায্য নিতে পার।

আরও পড়ুন

এসো কবিতা বুঝি:

১. প্রশ্ন: ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় কবি কিসের বর্ণনা দিয়েছেন?

নমুনা উত্তর: ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় কবি একটি নদীর চরের বর্ণনা দিয়েছেন।

২. প্রশ্ন: এই কবিতার প্রধান বিষয় কী?

নমুনা উত্তর: এই কবিতার প্রধান বিষয় ময়নামতী নামের এক চরের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার ছবি।

৩. প্রশ্ন: এই কবিতায় কী কী প্রাণীর উল্লেখ রয়েছে?

নমুনা উত্তর: এই কবিতায় কুমির, খরশুলা মাছ, দাঁড়িকানা মাছ, গাঙচিল, গরু, উকুন, বক, শালিক, বরাহ ইত্যাদি প্রাণীর উল্লেখ রয়েছে।

৪. প্রশ্ন: গাঙচিল কীভাবে মাছ শিকার করে?

নমুনা উত্তর: গাঙচিল ছোঁ মেরে মাছ ধরে ডালে এসে বসে। তারপর ঠোঁট দিয়ে চেপে মাছটিকে আছাড় মেরে নিস্তেজ করে এবং মাছটির মাথা-পেট-লেজ একে একে ছিঁড়ে গিলে খায়।

৫. প্রশ্ন: আখখেত পাহারা দিতে চাষিরা কী পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন?

নমুনা উত্তর: বুনো শূকরের হাত থেকে আখখেতকে রক্ষার জন্য ময়নামতীর চরের চাষিরা বিশেষ এক পদ্ধতি অবলম্বন করেন। আখখেত পাহারা দিতে গিয়ে চাষিরা খেতের কোনায় বাঁশ পুঁতে ছোট ঘর তৈরি করেছেন। ঘরের ভেতরে মাচার ওপর খড়ের শয্যা বানিয়ে কৃষকেরা সেখানে অবস্থান করেন। প্রবল শীতের মধ্যেও মাঠের মাঝখানে আগুনের মশাল জ্বালিয়ে ও হাততালি বাজিয়ে তাঁরা খেত পাহারা দেন। যাতে রাতের বেলা পদ্মার ওপার থেকে শূকর এসে আখের খেত নষ্ট না করে।

জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন