বিজ্ঞানীর সাজে সেজেছে শিশু–কিশোরেরা, সহজপাঠ উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান উৎসব

মার্কনি, জগদীশ চন্দ্র বসু, আর্যভট্ট, মেরি কুরি, লিওনার্দ দ্যা ভিঞ্চি, সহ বিভিন্ন বিজ্ঞানীর সাজে সেজেছিল সহজপাঠ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

রাজধানী ঢাকার সহজপাঠ উচ্চবিদ্যালয় আজ রোববার শিশু–কিশোরদের জন্য আয়োজন করেছে বিজ্ঞান উৎসবের। ঢাকার লালমাটিয়ায় অবস্থিত সহজপাঠ ভবনে বসেছিল এই উৎসব। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব শেষ হয় বেলা প্রায় দুইটায়। বিজ্ঞান উৎসবের উদ্বোধন করেন ও স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোমেনা বেগম।

২ / ৭
শিক্ষার্থীদের তৈরি বিজ্ঞান প্রদর্শনী দেখছেন মুনির হাসান

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোমেনা বেগম বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা আমাদের বার্ষিক উৎসবটা ওয়াহিদুল হকের জন্মদিন উপলক্ষে পালন করি। যেখানে নাচ, গানসহ নানান কিছু থাকে। এবার আমরা বিজ্ঞান উৎসব করছি। আমাদের শিশুরা আজকে এখানে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর মতো করে সেজেছে, বিভিন্ন উদ্ভাবন পরীক্ষণ বাস্তব জীবনে কীভাবে প্রয়োগ করা যায়, সেটা দেখানোর চেষ্টা করেছে।’

বিজ্ঞান উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সহজপাঠের সুহৃদ সংসদের সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিশু–কিশোরদের অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষক।

অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল সারা দিনের এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারী শিশুদের সঙ্গে থেকে তাদের নানা রকম প্রকল্প ঘুরে দেখেন ও তাদের উৎসাহ দেন। উৎসবের শুরুতে সহজপাঠের শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা বড় হয়ে কেউ খেলোয়াড় হবে, কেউ শিল্পী হবে, হয়তো কেউবা হবে বিজ্ঞানী। কিন্তু সকলকেই বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে।’

সহজপাঠ প্রতিবছর প্রয়াত গুণীজন ওয়াহিদুল হকের জন্মদিন উপলক্ষে বার্ষিক উৎসবের আয়োজন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর আয়োজন করা হয় এই বিজ্ঞান উৎসবের। শিশুদের নতুন নতুন উদ্ভাবন ও পরীক্ষণ প্রদর্শনের চেষ্টাকে উৎসবের দর্শক অভিভাবক সবাই প্রশংসা করেন।

২ / ৫
দলবদ্ধভাবে বিজ্ঞান পরীক্ষণ প্রদর্শন করছে কিছু শিক্ষার্থীছবি: প্রথম আলো

বিজ্ঞান উৎসবে শিশু-কিশোরদের বিজ্ঞান প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনির হাসান। তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যানের একটা পদ্ধতি আছে কীভাবে ভালো শেখা যায়। তিনি বলতেন, কোনো জিনিস ভালোমতো শেখার উপায় হলো আরেকজনকে শেখানো। ফলে এ রকম বিজ্ঞান উৎসবে প্রজেক্টকারী যখন নিজের প্রজেক্ট দর্শনার্থীদের ডেমোনস্ট্রেট করে, তখন তার জন্য শেখাটা অনেক পোক্ত হয়। সেখানে সে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়, যা তার জ্ঞানের দরজাটা খুলে দেয়, তাকে অনুসন্ধিৎসু করে তোলে। বিজ্ঞান উৎসবগুলোতে এটাই আমাদের বড় পাওয়া।’

৪ / ৩

সহজপাঠের এই বিজ্ঞান উৎসবে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন ও পরীক্ষণ প্রদর্শন করে। বিভিন্ন বিজ্ঞানীর সাজে সাজার পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা সংগীত পরিবেশন করে। বিদ্যালয়টি নিয়মিতভাবেই শিশু-কিশোরদের জন্য বিভিন্ন অংশগ্রহণমূলক আয়োজন করে থাকে।