পঞ্চম শ্রেণি - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ২ : প্রশ্নোত্তর (১৮-১৯)

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

অধ্যায় ২

১৮. প্রশ্ন: কোন শতকে নবজাগরণ ঘটে? নবজাগরণের ফলাফল লেখো। কারা নবজাগরণে অবদান রাখেন?

উত্তর: ব্রিটিশ শাসনকালে শিক্ষা ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে উনিশ শতকে বাংলায় নবজাগরণ ঘটে। এ সময় সামাজিক সংস্কারসহ শিক্ষা, সাহিত্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসার ঘটে।

বাংলায় নবজাগরণের জন্য যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন

ক. রাজা রামমোহন রায়

খ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

গ. নবাব আবদুল লতিফ

ঘ. সৈয়দ আমীর আলী

ঙ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রমুখ।

তাঁদের হাত ধরেই উনিশ শতকে বাংলায় নবজাগরণ ঘটে। তাঁরা নিজেদের সমাজে বহুকাল ধরে প্রচলিত নানা কুসংস্কার, কুপ্রথা সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠেন।

১৯. প্রশ্ন: বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব কে? কত সালে তিনি নবাব হন? পলাশীর যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল লেখো।

উত্তর: বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। তিনি ১৭৫৬ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে বাংলার নবাব হন।

পলাশীর যুদ্ধের কারণ:

নবাব সিরাজউদ্দৌলা তাঁর পরিবারের কিছু সদস্যের, বিশেষ করে তাঁর খালা ঘসেটি বেগম এবং রায়দুর্লভ ও জগৎশেঠের মতো ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হন। এ সময় নানা কারণে নবাবের সঙ্গে ইংরেজ বণিকদের বিরোধ দেখা দেয়। ইংরেজদের সঙ্গে নবাববিরোধী শক্তিগুলো এক জোট হয়ে ষড়যন্ত্রে যোগ দেয়। এসবের জের ধরে শেষাবধি ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ইংরেজ শক্তির সঙ্গে নবাবের সৈন্যদের পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধ হয়।

যুদ্ধের ফলাফল:

সেনাবাহিনীর প্রধান মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে নবাব পরাজিত হন। পরে নবাবকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলায় ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০০ বছরের ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা