পাঠ্যবই-বহির্ভূত অনুচ্ছেদ
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
গাছপালা আমাদের পরম বন্ধু। গাছপালা ছাড়া পৃথিবীতে আমাদের জীবন অচল। বাতাসে শ্বাস নিতে না পারলে আমাদের মৃত্যু অনিবার্য। বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে আমরা বাঁচি। গাছপালা বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে ও বাতাসে অক্সিজেন ছাড়ে। গাছপালা না থাকলে একসময় বাতাসের অক্সিজেন একেবারেই শেষ হয়ে যেত। আমরা তখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তাম। গাছপালা অন্যভাবেও আমাদের বাঁচতে সাহায্য করে। সেটা হলো, গাছপালা আমাদের সব রকম খাবারের মূল উৎস।
কেবল পরিবেশ সুন্দর নয়, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় অনুকূল পরিবেশ ঠিক রাখতে গাছের জুড়ি নেই। যেখানে গাছপালা ও বনভূমি বেশি, সেখানে বেশি বৃষ্টি হয়। এর ফলে ভূমিতে পানির পরিমাণ বাড়ে, চাষাবাদ ও ফসল ভালো হয়। ঝড়, বৃষ্টি ও বন্যা প্রতিরোধেও গাছপালা সহায়তা করে। গাছপালা না থাকলে পরিবেশ হয়ে উঠত উষ্ণ। পৃথিবী হয়ে উঠত মরুভূমি। মানুষের অস্তিত্ব হতো বিপন্ন। পরিবেশ রক্ষার জন্য গাছপালার কোনো বিকল্প নেই। তাই আজ স্লোগান উঠেছে: ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’। আমরা গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় সহায়তা করব।
৩. কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেওয়া আছে। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো।
শব্দ - শব্দার্থ
অস্তিত্ব - থাকার অবস্থা/বিদ্যমানতা
সৌন্দর্য - সুন্দর
বন্ধু - সুহৃদ
অনিবার্য - এড়ানো যায় না এমন
পরিবেশ - প্রকৃতি
ক. গাছপালা আমাদের প্রকৃত ____ ।
খ. ____ রক্ষায় গাছপালার জুড়ি নেই।
গ. অক্সিজেন না থাকলে প্রাণীর মৃত্যু ____ ।
ঘ. গাছপালা না থাকলে মানুষের ____ হতো বিপন্ন।
ঙ. গাছপালা পরিবেশের ____ বৃদ্ধি করে।
৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. গাছপালা আমাদের প্রকৃত বন্ধু।
খ. পরিবেশ রক্ষায় গাছপালার জুড়ি নেই।
গ. অক্সিজেন না থাকলে প্রাণীর মৃত্যু অনিবার্য।
ঘ. গাছপালা না থাকলে মানুষের অস্তিত্ব হতো বিপন্ন।
ঙ. গাছপালা পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. গাছপালাকে পরম বন্ধু বলার পাঁচটি কারণ উল্লেখ করো।
খ. প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গাছপালা কী ভূমিকা পালন করে?
গ. গাছপালা না থাকলে কী হতো? আজকের দিনে পরিবেশ রক্ষার স্লোগান কী?
৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. গাছপালাকে পরম বন্ধু বলার পাঁচটি কারণ নিচে দেওয়া হলো—
১. গাছপালা থেকে আমরা অক্সিজেন পাই।
২. গাছপালা কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে পরিবেশকে নির্মল করে।
৩. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি জীবের অস্তিত্ব রক্ষায় অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।
৪. গাছপালা ও বনভূমি বেশি হলে বেশি বৃষ্টি হয়।
৫. গাছপালা আমাদের খাদ্যের জোগান দিয়ে থাকে।
খ. প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গাছপালার ভূমিকা অনেক। বাতাস থেকে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছেড়ে দিই। অন্যদিকে গাছপালা কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন ছেড়ে দেয়। সুতরাং মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে গাছপালার অবদান অপরিসীম। গাছপালা থাকলে ঝড়, বন্যা কম হয়। তাই প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গাছপালার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
গ. গাছপালা না থাকলে পৃথিবীর পরিবেশ হয়ে উঠত উষ্ণ। পৃথিবী মরুভূমি হয়ে যেত। মানুষের অস্তিত্ব হতো বিপন্ন। আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য গাছপালার কোনো বিকল্প নেই। তাই আজ স্লোগান উঠেছে: ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা