বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ
ভূমিকা
আমাদের দেশে অনেক রকম ছোট-বড় মাছ পাওয়া যায়। সবই সুস্বাদু। কিন্তু ইলিশের কাছে অন্যসব মাছের স্বাদ তুচ্ছ। ইলিশের রং, আকার আর স্বাদের মধ্যেই তার পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য নিহিত। বাঙালির পছন্দের মাছ ইলিশ। আর এ কারণে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ।
বর্ণনা
মাঝারি আকারের রুপালি রঙের এ মাছের দেহ চাপা ও পুরু। রুপালি আঁশে আবৃত এ মাছ সর্বোচ্চ ৬০ সে.মি. লম্বা হয়। আর ওজন হয় প্রায় আড়াই কেজি পর্যন্ত। স্ত্রী ইলিশ দ্রুত বাড়ে এবং আকারে বড় হয়।
যেখানে পাওয়া যায়
ইলিশ লোনা পানির মাছ। বাংলাদেশের উপকূলীয় নদীগুলোতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়। এ ছাড়া পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও কর্ণফুলীতেও ইলিশ বিচরণ করে। বড় আকারের একটি মা ইলিশ ২০ লক্ষ পর্যন্ত ডিম দেয়। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে মা ইলিশ বেশি ডিম দেয়।
খাদ্য
ইলিশ মূলত নীল-সবুজ শৈবাল, ডায়াটম ইত্যাদি খেয়ে বড় হয় ও বেঁচে থাকে।
উৎপাদন ও বিপণন
আমাদের সমুদ্র এলাকার মোহনা ও নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। মোট মাছ উৎপাদনের ১৬.৪ ভাগই ইলিশ। ইলিশ আহরণ ও বিপণনে ১০ লক্ষ মানুষ নিয়োজিত।
সুস্বাদু ইলিশ
ইলিশের স্বাদ পায়নি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঙালির রসনা ইলিশে তৃপ্ত। বিভিন্ন রকম রান্নায় এর বিচিত্র স্বাদ অনুভব করা যায়। ইলিশ ভাজা, ভাঁপা ইলিশ, সরষে ইলিশ, ইলিশের ঝোল বড়ই সুস্বাদু। পদ্মার ইলিশের স্বাদ আর সুগন্ধের তুলনা হয় না।
উপসংহার
বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশ। সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী জাটকা ইলিশ ধরা উচিত নয়।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা