বাংলা | পাঠ্যবই-বহির্ভূত অনুচ্ছেদ

মুঠোফোন

অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখো।

আজকের দিনে মুঠোফোন চেনে না বা দেখেনি এমন কাউকে বোধ হয় পাওয়া যাবে না। আমরা অনেকেই জানি না মুঠোফোন আবিষ্কার হলো কেমন করে অথবা এটা কেমন করে কাজ করে। আসলে মুঠোফোন কেউ একজন আবিষ্কার করেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই
এটার উদ্ভাবনকাজ শুরু হয়। তারপর কালে কালে একটু একটু করে আজকের মুঠোফোন বেরিয়েছে এবং প্রায় প্রতিবছরই এর পরিবর্তন ও উন্নয়ন ঘটছে।

আমেরিকার বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেল প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন। ১৭৭৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে তাঁর গবেষণাগারে বসে প্রথম ফোন করেছিলেন তিনি। তাঁর দুই সহকারী গবেষক ছিলেন রিচার্ড এইচ ফ্রাংকিয়েল ও জোয়েল এস অ্যাঞ্জেল। তাঁরাই পরবর্তীকালে মুঠোফোনের কৌশল উদ্ভাবন করেন। প্রথম পর্যায়ে সীমিত আকারে মুঠোফোন ব্যবহার শুরু হয় সেন্ট লুই শহরে, ১৯৪৭ সালে। ধাপে ধাপে এর উন্নয়ন ঘটে। ১৯৬৪ সালের দিকে শুধু গাড়িতে মুঠোফোন থাকত। গড় ওজন ছিল প্রায় এক কেজি।

১৯৭১ সালে ফিনল্যান্ডে সব মানুষের জন্য মুঠোফোন ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭২ সালে গবেষক মার্টিন কুপার হাতে ধরা ছোট সেট তৈরি করেন। যে এলাকাজুড়ে মুঠোফোন কোনো কাজ করবে, তার সবটাকে কতগুলো অংশে ভাগ করা হয়। প্রতিটি অংশে শক্তিশালী বেতার টাওয়ার বসানো হয়। এই টাওয়ারগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে যোগাযোগের একটা অদৃশ্য জাল তৈরি করে। মুঠোফোনের মধ্যে থাকে একটি ‘অ্যানটেনা’। সারাক্ষণ তরঙ্গের মাধ্যমে সেটি টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।

৩. কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেওয়া আছে। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো।

শব্দ অর্থ

তরঙ্গ ঢেউ

উদ্ভাবন আবিষ্কার করা

গবেষক যিনি গবেষণা করেন

সমন্বয় সামঞ্জস্য

রূপান্তরিত এক রকম থেকে আরেক রকম করে ফেলা

এসএমএস খুদে বার্তা

ক. নদীর_চোখে দেখা যায়, কিন্তু বেতার তরঙ্গ দেখা যায় না।

খ. _নতুন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন।

গ. মানুষ নিজের কাজের জন্য অনেক কিছু _করেছে।

ঘ. পানি ফুটলে বাষ্পে_হয়।

ঙ. বাড়ি পৌঁছে আমাকে_পাঠাবে।

৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. নদীর তরঙ্গ চোখে দেখা যায়, কিন্তু বেতার তরঙ্গ দেখা যায় না।

খ. গবেষক নতুন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন।

গ. মানুষ নিজের কাজের জন্য অনেক কিছু উদ্ভাবন করেছে।

ঘ. পানি ফুটলে বাষ্পে রূপান্তরিত হয়।

ঙ. বাড়ি পৌঁছে আমাকে এসএমএস পাঠাবে।

৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

ক. মুঠোফোন কী? মুঠোফোন আবিষ্কার সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।

খ. মুঠোফোনের পাঁচটি ব্যবহার লেখো।

গ. মুঠোফোনের ‘অ্যানটেনা’ কীভাবে কাজ করে? পাঁচটি বাক্যে লেখো।

৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. পারস্পরিক যোগাযোগ বা তথ্য আদান-প্রদানের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো মুঠোফোন। মুঠোফোন কেউ একজন আবিষ্কার করেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এর উদ্ভাবনকাজ শুরু হয়। তারপর সময়ে সময়ে একটু একটু করে আজকের এই চূড়ান্ত মুঠোফোন বেরিয়েছে। প্রায় প্রতিবছরই এর পরিবর্তন ও উন্নয়ন ঘটে বর্তমান অবস্থায় এসেছে।

খ. মুঠোফোনের পাঁচটি ব্যবহার নিচে লেখা হলো: মুঠোফোন দিয়ে আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারি, খুদে বার্তা বা এসএমএস পাঠাতে পারি, ছবি তুলতে পারি, ভিডিওচিত্র ধারণ করতে পারি, গান শুনতে পারি।

গ. যে এলাকাজুড়ে মুঠোফোন কাজ করবে, তার সবটাকে কতগুলো অংশে ভাগ করা হয়। প্রতিটি অংশে শক্তিশালী বেতার টাওয়ার বসানো হয়। এই টাওয়ারগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে যোগাযোগের একটা অদৃশ্য জাল তৈরি করে। মুঠোফোনের মধ্যে একটি অ্যানটেনা থাকে। সেটি তরঙ্গের মাধ্যমে সারাক্ষণ টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।