পিএইচডি থিসিসের কপি ডাস্টবিনে, অভিযোগ কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে

ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন অনেক কষ্টের। কষ্টের সেই গবেষণালব্ধ পেপারের যদি দেখা মেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়লা রাখার পাত্রে (ডাস্টবিন), তাহলে শিক্ষার্থীর জন্য এর চেয়ে দুঃখের আর কিছু হতে পারে না। সম্প্রতি তেমনই অভিযোগই উঠেছে কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পেছনে একটি ডাস্টবিনে দেখা গেছে, অসংখ্য পিএইচডি থিসিস অবহেলায় পড়ে আছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়। ময়লা রাখার পাত্রে পড়ে থাকা সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে টুইটারে।

আরও পড়ুন

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও দ্য ফাস্ট পাস্টের খবরে বলা হয়েছে, ক্যাফিনেটেড পিজিয়ান নামের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে বিতর্কিত ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, একটি বড়সড় ময়লার পাত্রের মধ্যে পড়ে রয়েছে লাল রঙের নানা বই। পিজিয়ানের দাবি, কানাডার এডমন্টন শহরের আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের একটি ডাস্টবিনের ছবি এটি। লাল রঙের কভারে বাঁধাই করা বইগুলো আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা পড়া থিসিস পেপার। পড়ুয়াদের তৈরি এসব বই অবহেলায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

ছবির ক্যাপশনে ক্যাফিনেটেড পিজিয়ান লিখেছেন, ‘রাতে একটি লেকচার শেষে ফিরছিলাম। চোখে পড়ল, আলবার্টা এডুকেশন সেন্টারের পেছনে একটি ডাস্টবিন। ভর্তি হয়ে আছে থিসিস পেপার। এ দৃশ্য আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার বাজে হালকেই চিহ্নিত করে।’

আরও পড়ুন

ক্যাফিনেটেড পিজিয়নের ওই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘থিসিস পেপার ছাপায় প্রচুর খরচ। কয়েক দিন আগে আমার সুপাভাইজারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি জানান, আমার পিএইচডি থিসিস পেপার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয় হারিয়ে ফেলেছে। আমার কাছে অবশ্য পিডিএফ কপি আছে।’ তবে আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয় এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।