চবির শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীদের ৭ দফা দাবিতে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে তালা

আবাসিক হলের দুর্ভোগ লাঘবের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রাধ্যক্ষের হলে তালা দেওয়া হয়
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত দফা দাবিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়েছেন ওই হলের ছাত্রীরা। হলের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তালা দেওয়া হয়।

ছাত্রীদের দাবিগুলো হলো—১. দুই কর্মদিবসের মধ্যে বর্ধিত অংশ খুলে দেওয়া, ২. পর্যাপ্ত লোকবল দেওয়া, ৩. পাঠাগার চালু করা, ৪. শৌচাগার নিয়মিত পরিষ্কার করার জন্য কর্মচারীদের নির্দেশ দেওয়া, ৫. খাবারের মান বাড়ানো, রাতে ডাইনিং চালু করা ও চুলার সংখ্যা বাড়ানো, ৬. সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি নিয়মিত পানির ট্যাংকি পরিষ্কার করা ও ৭. কর্মচারীদের আলাদা পোশাক পরতে বাধ্য করা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী রওজাতুল জান্নাত প্রথম আলোকে বলেন, এই হলে গণরুম থাকার কথা ছিল না, এখন গণরুমের নাম দিয়ে একটা কক্ষে গাদাগাদি করে ৫৬ জন শিক্ষার্থী থাকছেন। অথচ একটি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার পরও ছাত্রী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। আবার পাঠাগার খোলা হয় না, এতে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েন। শৌচাগার ১৫ দিন পরপর পরিষ্কার করা হয়। পুরো হলের অবস্থা অস্বাস্থ্যকর। কর্মচারীদের বললে তাঁরা উল্টো খারাপ ব্যবহার করেন। এ ব্যাপারে হল কর্তৃপক্ষকে বারবার বললেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি।

জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণকাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর কাজ শেষ হয় ২০২১ সালে ডিসেম্বরে, কিন্তু এখনো এ বর্ধিত অংশ চালু হয়নি।

জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, লোকবল সংকটের কারণে বর্ধিত অংশে ছাত্রী ভর্তির কাজ শুরু করা যায়নি। শিগগির তা চালু করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।