ভারতে শৃঙ্খলা শেখাতে ৩০ শিক্ষার্থীর চুল কাটলেন শিক্ষক

ভারতের আসাম রাজ্যের এক শিক্ষক চুল কেটে দিলেন ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর
ছবি: টুইটার

স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে গিয়ে নানা কিছুই করেন শিক্ষকেরা। অনেক সময় অভিনব শাস্তিও দেন। ভারতের আসাম রাজ্যে তেমনি এক অভিনব সাজা পেয়েছে স্কুলপড়ুয়ারা। অভিনব শাস্তি দিতে গিয়ে শিক্ষক চুল কেটে দিলেন ৩০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আসামের মাজুলি জেলার একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার বেসরকারি ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের চুল কেটে নিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে সমালোচনার মুখে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মাজুলি জেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন

অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছেন, সকালে দিনের শুরুতে প্রার্থনাসংগীতের আগে চুল কেটে নেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা হেনস্তার শিকার হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের নিয়মে শিক্ষার্থীদের চুল বড় রাখার বিধান নেই। শৃঙ্খলা শেখাতেই এ পদক্ষেপ করা হয়েছে।

যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, স্কুলের গাইডলাইন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ছোট করে চুল রাখার নিয়ম। এ নিয়ে বারবার শিক্ষার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা ঠিক রাখতে গিয়ে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আসামের মাজুলি জেলার ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের চুল কেটে শাস্তি দেওয়া হয়েছে
ছবি: টুইটার

মাজুলি জেলার শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, স্কুলের শিক্ষার্থীদের যে চুল ছোট রাখতে হবে, এমন কোনো সরকারি বিধান ও নিয়ম নেই। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম নিকি। তাঁর দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তিনি এ কাজ করেছেন। যদিও অভিভাবকেরা বলছেন, ‘এভাবে শিক্ষার্থীদের অপমান করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জেলার ডেপুটি কমিশনার কাবেরী বি শর্মা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের চুল কাটা হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষক কিছুটা চুল কেটে নিয়েছিলেন।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেছেন, বৃহস্পতিবার শিশুটি সামনের দিকের চুল কাটা অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসে। এখন স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। কারণ, সে অপমানিত বোধ করছে।

কয়েক দিন আগে রাজ্যের কাছাড় জেলার একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে এক শিক্ষার্থী ইংরেজির বদলে মাতৃভাষায় কথা বলায় ২৫০ রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে।

আরও পড়ুন