শুক্রবার উপস্থিতি কম রাখার ঘোষণা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের (সরকারীকরণ) দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ও পরদিন শুক্রবার বেলা দুইটা পর্যন্ত উপস্থিতির ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এই সময়ে শুধু ৬০ জন নেতা অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।
আজ বুধবার রাতে আন্দোলনকারী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, বড় দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের ঘোষণা থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁদের কর্মসূচি না করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেহেতু লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি, তাই কর্মসূচি বন্ধ না রেখে ৬০ জন শিক্ষকনেতা আগামীকাল কর্মসূচি পালন করবেন। আর পরদিন শুক্রবার হাইকোর্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচি থাকায় ওই দিন বেলা দুইটা পর্যন্ত ৬০ শিক্ষকনেতা কর্মসূচিতে থাকবেন। এরপর আবার আগের মতো কর্মসূচি চলবে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ডাকে ১১ জুলাই থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকেরা। তাঁরা ঘোষণা দিয়েছেন, অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়া তাঁরা ঘরে ও শ্রেণিকক্ষে যাবেন না।
শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ১৬তম দিনে আজ বিপুল শিক্ষকের উপস্থিতি দেখা গেছে। লাগাতার এই কর্মসূচিতে মাঝে কয়েক দিন শিক্ষকের উপস্থিতি কমে গেলেও গতকাল ও আজ উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষকেরা এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ১৬তম দিনে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বক্তৃতাকালে শিক্ষকনেতা শেখ কাওছার আহমেদ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির উদ্দেশে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করে আপনি যেভাবে উসকে দিচ্ছেন, দয়া করে আর কোনো অস্তিত্বে আঘাত না দিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান থেকে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। না হয়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে যাব না।’
অন্যদিকে আগামীকাল ‘সমস্যার’ আশঙ্কা থাকায় মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের আজকের মধ্যে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেছেন, ২৭ জুলাই সমস্যা হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সেখানে শিক্ষকদের যাঁরা এখানে বসিয়ে রাখছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাঁরা শিক্ষকদের জিম্মি করে অন্য কোনো কিছুতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই অপচেষ্টা বন্ধ করা উচিত।