ইউজিসি পক্ষপাতমূলক তদন্ত করেনি: অধ্যাপক আলমগীর

অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর।
সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি এবং রাষ্ট্রপতির কাছে অসত্য তথ্য প্রদান, শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে নিজের কন্যা ও জামাতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি। কমিটি বলেছে, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশের মূল লক্ষ্যের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। তাঁর এই ধরনের কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ মর্যাদাশীল পদটির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ জন্য কমিটি বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। কিন্তু ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন জমার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে ইউজিসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতমূলক’বলে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্ত কমিটির সদস্য ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মোশতাক আহমেদ

প্রথম আলো: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইউজিসির তদন্ত করার এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। আইনানুযায়ী কি আপনারা এই ধরনের তদন্ত করতে পারেন ?

অধ্যাপক মুহাম্মদ: অবশ্যই পারি। এটি ওনার ভুল ধারণা। ইউজিসির অধ্যাদেশ পড়লেই উনি জানতে পারবেন। ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট অনুযায়ী ইউজিসি সরকার কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে যেকোনো কাজ করতে পারে। সুতরাং ইউজিসির তদন্ত করার এখতিয়ার সুস্পষ্টভাবে আছে এবং এটি প্রশ্নাতীত।

প্রথম আলো: ইউজিসির তদন্তের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন ‘পক্ষপাতমূলক’। এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কি?

অধ্যাপক মুহাম্মদ: ইউজিসি কখনো পক্ষপাতমূলক তদন্ত করতে পারে না এবং তা করেও না। ইউজিসি একটি রেগুলেটরি বডি, তারা সবকিছু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সব সময় নিরপেক্ষ তদন্ত করে থাকে, এবারও তাই করেছে।

প্রথম আলো: ইউজিসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলো, এখানেই কি ইউজিসির দায়িত্ব শেষ?

অধ্যাপক মুহাম্মদ: আমাদের দায়িত্ব এখানেই শেষ। ইউজিসির চেয়ারম্যান আমাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন, আমরা তদন্ত করে ওনার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এর ভবিষ্যৎ নিয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বা সদস্য হিসেবে কোনো বক্তব্য নেই।

প্রথম আলো: তাহলে আপনারা কি চান না, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হোক?

অধ্যাপক মুহাম্মদ: অবশ্যই চাই, এটি তো সবাই প্রত্যাশা করে যে কেউ যদি কোনো কাজ করে থাকে, তাহলে সেটির ফলাফল হোক।

প্রথম আলো: শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয় আরও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে, সেগুলোর বিষয়ে কি তদন্ত করছেন না?

অধ্যাপক মুহাম্মদ: সেগুলোর বিষয়েও তদন্ত চলমান আছে। কোনো কিছুই থেমে নেই।