উৎসব ছাড়াই বই বিতরণ শুরু আজ

ছবি: প্রথম আলো

আজ শনিবার শুরু হচ্ছে নতুন বছর, নতুন শিক্ষাবর্ষ। প্রতিবছর এই দিনে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হলেও করোনার সংক্রমণের কারণে গতবারের মতো এবারও উৎসব করে বই দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় একেকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভাগ করে বিভিন্ন দিনে বই দেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে বছর শেষ হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিপুল পরিমাণ বই এখনো ছাপা শেষ হয়নি। তবে প্রাথমিকের প্রায় সব বই ছাপা শেষ হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই ছাপার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এবার মাধ্যমিকের বিনা মূল্যের মোট পৌনে ২৫ কোটি বইয়ের মধ্যে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় পৌনে ২২ কোটি বই ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে প্রায় ২০ কোটি বইয়ের।

মাধ্যমিকের বাকি বই ছাপার কাজ শেষ হতে আরও প্রায় এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা।

রাজধানীর গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সাঈদ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন দিনে বই দেবেন।

একই রকম তথ্য দিয়েছেন রাজধানীর হাজারীবাগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মোহাম্মদ ছায়িদ উল্লা।

তবে রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা নির্দেশনা পাওয়ার আগেই বই দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জানিয়েছিলেন। তাই সে অনুযায়ী বছরের প্রথম দিনে আজ সকাল আটটা থেকে বিকেল পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেবেন।

স্বল্প পরিসরে ক্লাসের সময়সূচি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষে (২০২২) প্রতিদিন কয়টি করে ক্লাস হবে, তার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিভেদে সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে এসব ক্লাস হবে।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে প্রতিদিন চারটি বিষয়ের ওপর ক্লাস নিতে হবে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে প্রতিদিন তিনটি বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হবে। অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে দুদিন ক্লাস হবে। এই দুদিনের প্রতিদিন তিনটি করে বিষয়ের ওপর ক্লাস নিতে হবে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে এক দিন তিনটি বিষয়ে ক্লাস নেওয়া হবে। প্রাথমিকে শ্রেণি কার্যক্রম হবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি মার্চ পর্যন্ত দেখা হবে। এর মধ্যে সংক্রমণ না বাড়লে তারপর শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারে। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে মিল রেখেই স্বল্প পরিসরে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইনেও শ্রেণি কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে।