কমনওয়েলথ বৃত্তির জন্য মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

কমনওয়েলথ বৃত্তি পাওয়া নানা দেশের শিক্ষার্থীরা।
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

২০২২ শিক্ষাবর্ষে কমনওয়েলথ বৃত্তির জন্য বাংলাদেশের ৬৪ প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন। ‘কমনওয়েলথ স্কলারশিপ টেনেবল ইন দ্য ইউনাইটেড কিংডম ফর ২০২২’ আওতায় এমএস প্রোগ্রামে ৩১ জন ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ৩৩ জন মনোনয়ন পেয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত এই ৬৪ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

সাধারণত, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপে মাস্টার্সে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেয় কমনওয়েলথ বৃত্তি। মাস্টার্সের জন্য কমনওয়েলথের এ বৃত্তির যাবতীয় অর্থ দেয় ইউকে ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা মনোনীত প্রতিষ্ঠান আছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

কমনওয়েলথ বৃত্তির আর্থিক সুবিধা

  • স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির সম্পূর্ণ টিউশন ফি বহন করবে কমনওয়েলথ কমিশন।

  • যুক্তরাজ্যে যাওয়া-আসার বিমানের টিকিট।

  • লন্ডনের বাইরে থাকলে মাসিক ভাতাও মিলবে।

  • মাসিক ভাতার বাইরেও এককালীন অর্থ পাওয়া যাবে।

  • ‘স্টাডি ট্রাভেল গ্র্যান্ট’ ও ‘থিসিস গ্র্যান্ট’ হিসেবে অর্থ মিলবে এ বৃত্তি পেলে।

১৯৫৯ সালে যাত্রা শুরু করে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন (সিএসসি)। এখন পর্যন্ত কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ পেয়েছেন ৩৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের তরুণ শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য দেওয়া হয় ৮০০টি বৃত্তি (স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও স্প্লিট-সাইট স্টাডি)। কমনওয়েলথ কমিশন সচিবালয়, লন্ডনের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেয় যুক্তরাজ্য সরকারের ‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ বা ডিএফআইডি’।

কমনওয়েলথ বৃত্তির জন্য মনোনয়নপ্রাপ্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তালিকা দেখুন এই লিংকে