গবেষণার জন্য ঢাবিকে ২০ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ২০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এই বরাদ্দের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।


গতকাল মঙ্গলবার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক সভায় বিশেষ বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়টি জানান উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামালসহ অনুষদগুলোর ডিন, বিভাগগুলোর চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউট-গবেষণাকেন্দ্র ও ব্যুরোগুলোর পরিচালকেরা যুক্ত ছিলেন।
সভা শেষে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির দায়িত্বে থাকতে আমরা সরকারের কাছে গবেষণার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দাবি করেছিলাম। উপাচার্যের সহযোগিতায় মন্ত্রণালয়ে আমাদের দাবির বিষয়টি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার জন্য ২০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের মনুমেন্ট নির্মাণের জন্যও ১৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।’

মাকসুদ কামাল জানান, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে কি না, তা নিয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চিন্তা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সভা শেষে জনসংযোগ দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের যেসব শিক্ষার্থীর লিখিত, ব্যবহারিক ও অন্যান্য পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে, কিন্তু কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, তাঁদের ফলাফল চূড়ান্ত করতে মৌখিক পরীক্ষা নীতিমালার আলোকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা কার্যক্রমের সুবিধা থেকে বঞ্চিত যেন না হন, সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। ক্যাম্পাসে সশরীরে শিক্ষার্থীদের অসমাপ্ত লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিভাগ-ইনস্টিটিউট ও অনুষদভিত্তিক সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ডিন ও পরিচালকেরা সমন্বয় করবেন। পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সভা থেকে এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্প মেডিকেল কলেজ এবং স্নাতকোত্তর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও গবেষণা অনুষদের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাগুলো নেওয়ার লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি কৌশলপত্র প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিনদের অনুরোধ করা হয়েছে।