গুচ্ছের ফলাফলে অসংগতির অভিযোগ, ওয়েবসাইটেও দেখা যাচ্ছে না

মঙ্গলবার রাত ১১টায় ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, এতে প্রযুক্তিগত রক্ষণাবেক্ষণের কারণ দেখানো হচ্ছে
ছবি: সংগৃহীত

গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মানবিক বিভাগের ফলাফলে অসংগতির অভিযোগ উঠেছে। এরপর থেকে এ–সংক্রান্ত অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ওই ফলাফল দেখা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার রাত ১১টায় ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, এতে প্রযুক্তিগত রক্ষণাবেক্ষণের কারণ দেখানো হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সমন্বিত ভর্তিসংক্রান্ত অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd) মানবিক বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ফলাফল প্রকাশের পর একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ফলাফলে বিভিন্ন অসংগতির অভিযোগ করেন। তাঁরা অভিযোগ করে প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র মিলিয়ে প্রাপ্য নম্বর থেকে অনেক কম নম্বর দেখা যাচ্ছে। অনেকের বাংলা বিষয়ের নম্বর ইংরেজি বিষয়ের নম্বরে এসেছে, আবার অনেকের ইংরেজি বিষয়ের নম্বর বাংলা বিষয়ে এসেছে।

মঙ্গলবার রাত ১১টা পর্যন্ত ১৩৫ জন শিক্ষার্থী প্রথম আলোর কাছে এসব অভিযোগ করেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রথম আলো থেকে রাত আটটার দিকে সমন্বিত ভর্তিপ্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা অসংগতির অভিযোগ নাকচ করেন।
এর আগে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুনাজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোর কমিটি থেকে আমাদের যেসব উত্তর দেওয়া হয়েছে, তা-ই আমরা সিস্টেমে ইনপুট করেছি। আর সেভাবেই ওএমআর শিট থেকে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অসংগতি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সাধারণভাবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কোনো প্রশ্নের উত্তর সঠিক মনে হলেও সেটি না–ও হতে পারে।’

উপাচার্য বলেন, ‘বড় পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে শিক্ষার্থীরা উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের (রিভিউ) আবেদন করে থাকেন। কারণ, এটা তাঁদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনা করে কোর কমিটির সভায় আমরা রিভিউ করার সুযোগ রাখতে পারি। যদি কোর কমিটি অনুমোদন দেয়, তবে শিক্ষার্থীরা রিভিউ করার সুযোগ পাবেন।’

গত রোববার দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে মানবিক বিভাগ থেকে ৬৭ হাজার ১১৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। ভর্তি পরীক্ষায় ৯৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।