চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও সশরীর ক্লাস বন্ধ, তবে পরীক্ষা চলবে

করোনার সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সরকারি নির্দেশনার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও সশরীর শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে। ট্রেনও চলবে। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীর ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাগুলো যথানিয়মে চলবে। পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবশ্যই আগের মতো মাস্ক পরিধান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। গবেষণা কর্ম, দাপ্তরিক প্রয়োজন এবং প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রমের সুবিধার্থে ডিন কার্যালয় ও বিভাগীয় সভাপতির কার্যালয় খোলা থাকবে। আবাসিক হল ও হোস্টেল খোলা থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো র‍্যালি, সাংস্কৃতিক সমাবেশ, শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান এবং জনসমাগম হয়, এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না। তবে জরুরি পরিষেবা (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ইন্টারনেট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি) বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আবাসিক হলগুলো এখনই বন্ধ হবে না। তবে কোনো শিক্ষার্থীর মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে। ইতিমধ্যে শুরু হওয়া পরীক্ষাগুলো চলবে।

এর আগে আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা নেবে।

এ নির্দেশনার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে। এ ছাড়া ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও সশরীর শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত ১২ সেপ্টেম্বর আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তবে তখন থেকেই সীমিত পরিসরে ক্লাস চলে আসছিল। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মুখে পড়ল।