জবির অনার্সে ২,৭৬৫ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট ২ হাজার ৭৬৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এবং ২০১৭ বা ২০১৮ সালে এসএসসি বা সমমান এবং ২০২০ সালে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ৬০০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রার ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয় নির্বাচন এবং কোটা–সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করতে হবে। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, রকেট বা নগদের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত বিজ্ঞান বিভাগের ‘এ’ ইউনিটের ১৩টি বিভাগে মোট ৮২৫ জন। কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেসভুক্ত মানবিক বিভাগের ‘বি’ ইউনিটে দুই ইনস্টিটিউট ও ১৫ বিভাগে মোট ১ হাজার ২৭০ জন। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের চার বিভাগে মোট ৫২০ জন এবং বিশেষায়িত চার বিভাগে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট তথ্য দিয়ে লগইন করতে হবে।

আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয় নির্বাচন এবং কোটা–সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করতে হবে। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, রকেট বা নগদের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে হবে।

আবেদনের যোগ্যতা
‘এ’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তির জন্য আবেদন করতে ন্যূনতম যোগ্যতা বিজ্ঞান, মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনাল (এইচএসসি) শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.৫০-এর নিচে নয়। ‘এ’ ইউনিটের শিক্ষার্থীদের ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের নির্ধারিত বিষয়েও ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের মানবিক শাখায় ভর্তির জন্য মানবিক, সংগীত, গার্হস্থ্য, অর্থনীতি, মাদ্রাসার (সাধারণ, মুজাব্বিদ) শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.০০-এর নিচে থাকা যাবে না।
‘সি’ ইউনিটের বাণিজ্য শাখায় ভর্তির জন্য বাণিজ্য, ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা), ডিপ্লোমা ইন কমার্সের শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.০০-এর নিচে থাকা যাবে না। ‘সি’ ইউনিটের বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের ‘বি’ ইউনিটের মানবিক শাখার নির্ধারিত কয়েকটি বিষয়েও ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির বিশেষায়িত সংগীত ও চারুকলা বিভাগে ভর্তির জন্য এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.০০-এর নিচে থাকা যাবে না।

প্রতিটি বিভাগে বিষয়ভিত্তিক ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভাগ নেবে। পরীক্ষার ধরনসংশ্লিষ্ট বিভাগ ঠিক করবে এবং প্রতিটি বিভাগে পৃথকভাবে আবেদন করতে হবে। এরপর আগামী ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভাগে শুরু হবে

নাট্যকলা ও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের জন্য এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.০০-এর নিচে থাকা যাবে না।

বিশেষায়িত চারটি বিভাগে সব শাখার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি বিভাগে বিষয়ভিত্তিক ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভাগ নেবে। পরীক্ষার ধরনসংশ্লিষ্ট বিভাগ ঠিক করবে এবং প্রতিটি বিভাগে পৃথকভাবে আবেদন করতে হবে। এরপর আগামী ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভাগে শুরু হবে।

সব ইউনিটের জন্য জিসিইর ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (‘ও’ লেভেল) পরীক্ষায় অন্তত তিনটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ ন্যূনতম পাঁচটি বিষয়ে উত্তীর্ণ এবং ২০২০ সালের আইএএল (‘এ’ লেভেল) পরীক্ষায় অন্তত দুটি বিষয়ে ‘বি’ গ্রেডসহ তিনটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনের জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বাংলাদেশের মানদণ্ডে ‘৬বি’গ্রেড অথবা ৪.০০-এর স্কেলে ৩.০০ অথবা ৫.০০-এর স্কেলে ৩.৫০ থাকতে হবে।

গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ফলাফলে ১০ নম্বর ও এইচএসসি বা সমমান ফলাফলে ১০ নম্বর নিয়ে মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে ইউনিটভিত্তিক মেধাতালিকা করা হবে।

কোটায় ভর্তির হার
মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, উপজাতি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তান, স্বামী, স্ত্রী পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির জন্য ৫ শতাংশ, উপজাতি ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য ১ শতাংশ, খেলোয়াড় কোটায় সর্বোচ্চ ১০ জন এবং পোষ্য প্রতি বিভাগে দুজনের ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

নম্বর বণ্টন ও মেধাতালিকা
গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ফলাফলে ১০ নম্বর ও এইচএসসি বা সমমান ফলাফলে ১০ নম্বর নিয়ে মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে ইউনিটভিত্তিক মেধাতালিকা করা হবে।

সংগীত, চারুকলা, নাট্যকলা ও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন—এই চার বিভাগের ক্ষেত্রে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বর, এসএসসি বা সমমান ফলাফলে ১০ নম্বর, এইচএসসি বা সমমান ফলাফলে ১০ নম্বর, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার ৫০ নম্বরসহ মোট ১৭০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগের জন্য মেধাতালিকা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদনপ্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।