ঢাকায় চালু হচ্ছে আগা খান একাডেমির ক্যাম্পাস

থিয়োডর জন কোবার্ন

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগা খান একাডেমি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুব শিগগির যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। আগা খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান থিয়োডর জন কোবার্ন আশা প্রকাশ করছেন, ঢাকায় ক্যাম্পাসটি চালু হওয়ার পর চমকপ্রদ কিছু ঘটবে।

বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্মাণাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোবার্ন এ আশাবাদের কথা জানান।

আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের (একেডিএন) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী বছরের জুলাইতে বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে চার শ’ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আগা খান একাডেমির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। একেডিএনের আওতায় দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় মোট এ ধরনের ১৮টি স্কুল গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে ভারতের হায়দরাবাদ, কেনিয়ার মোম্বাসা ও মোজাম্বিকের মোপাতুর পর ঢাকাতে একই মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করবে।

থিয়োডর জন কোবার্ন সাংবাদিকদের জানান, বাংলা ও ইংরেজিতে বৈশ্বিক এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন বিষয় আগা খান একাডেমির পাঠ্যক্রমে প্রতিফলিত হবে। প্রতিযোগিতামূলক, একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার মানসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি চালু হওয়ার পর এখানকার শিক্ষার্থীদের বড় অংশটি আইবি ডিপ্লোমা অর্জন করবেন।

একেডিএনের এ দেশীয় কূটনৈতিক প্রতিনিধি মুনীর মীরালী বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে আগা খান একাডেমির শ্রেণিকক্ষে বৈচিত্র্যের সমাহার থাকবে। থিয়োডর জন কোবার্ন সাংবাদিকদের জানান, শুরুতে সাড়ে চার শ’ শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও তৃতীয় বা শেষ ধাপে গিয়ে সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে মোট এক হাজার দু শ শিক্ষার্থীর পড়াশোনার সুযোগ তৈরি হবে। এ ছাড়া সেখানে অন্তত তিন শ’ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক সুবিধা থাকবে।

আগা খান একাডেমিতে তিন ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম থাকবে। প্রাথমিক স্তরে প্রথম থেকে পঞ্চম গ্রেড, মধ্য স্তরে ষষ্ঠ থেকে দশম গ্রেড এবং ডিপ্লোমা স্তরে একাদশ ও দ্বাদশ স্তর।