দ্রুতগতির ইন্টারনেটের রেকর্ড

দ্রুতগতির ইন্টারনেট
ছবি: রয়টার্স

গত কয়েক দশকে ইন্টারনেট মানুষের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। এ প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে। গবেষকেরা তথ্য স্থানান্তরের ক্ষেত্রে নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন। তাঁরা বলছেন, প্রতি সেকেন্ডে ১৭৮ টেরাবিট (টিবিপিএস) গতির রেকর্ড ধরতে পেরেছেন। আগের জাপানের গবেষকেদের করা রেকর্ডের চেয়ে এবারে অনেক বেশি গতি তুলতে পেরেছেন তাঁরা।


যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা বলছেন, এখনকার ইন্টারনেটের সবচেয়ে বেশি গতির চেয়ে দ্বিগুণ গতি তাঁরা পরীক্ষায় তুলতে পেরেছেন।


ইন্টারনেটের নতুন যে গতি রেকর্ড করা গেছে, তাতে ১৫ গিগাবাইট আকারের ফোরকে মানের ১ হাজার ৫০০ মুভি এক সেকেন্ডেই ডাউনলোড করা যাবে।

গবেষকেরা বলছেন, তাঁদের বর্তমান গবেষণা দ্রুতগতির পরীক্ষাগারের চেয়েও বেশি কিছু। যে প্রযুক্তিতে ১৭৮ টেরাবিট গতি উঠেছে, তা বর্তমান অপটিক্যাল ফাইবার পাইপে সহজে ব্যবহার করা যাবে।

গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘আইট্রিপলই ফটোনিকস টেকনোলজি লেটার্স’ সাময়িকীতে।


বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত ইন্টানেট মূলত অপটিক্যাল ফাইবারে মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যাতে অ্যামপ্লিফায়ার আলোকসংকেতকে পতন থেকে রক্ষা করে। বর্তমান অ্যামপ্লিফায়ারে নতুন প্রযুক্তি ৪০ কিলোমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে বসাতে হবে। এতে ফাইবার পরিবর্তন করার খরচ কমবে।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশলী লিডিয়া গ্যালডিনো বলেন, ‘বর্তমানে ক্লাউডভিত্তিক ডেটা সেন্টারের মধ্যকার সংযোগে সেকেন্ডে ৩৫ টেরাবিট পর্যন্ত তথ্য স্থানান্তরিত হয়। আমরা নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি, যা আরও কার্যকর উপায়ে বর্তমান অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারে।অপটিক্যাল ফাইবার ব্যান্ডউইথের যথাযথ ব্যবহার করে আমরা প্রতি সেকেন্ডে ১৭৮ টেরাবিট তথ্য স্থানান্তরের রেকর্ড গড়েছি।’

বর্তমান বিশ্ব মহামারির সময়ে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের চাহিদা বেড়েছে। এতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও ব্যান্ডউইথের প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে দেখা দিয়েছে। এখনো বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে রয়েছে।

গ্যালডিনো বলেন, ‘এক দশক ধরেই ইন্টারনেটে ট্রাফিক বাড়ছে। ডেটা চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে প্রতি বিটের দামের সম্পর্ক যুক্ত। নতুন প্রযুক্তি উন্নয়ন বর্তমান ট্রেন্ড ধরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’