ছুটিতে প্রাথমিক-কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীর থাকবে বাড়িতে, পড়াশোনা অভিভাবকদের মাধ্যমে

ফাইল ছবি

৩০ জুন পর্যন্ত সব ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিজ বাসা-বাড়িতে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাপারটি অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দিয়েছে এ নির্দেশনা। এর আগে গতকাল শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাগুলোর চলমান ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।

ছবি: প্রথম আলো

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় এবং দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে আংশিকভাবে কঠোর লকডাউন কার্যকর থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় কোভিড-১৯–সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময় নিজেদের ও অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে স্কুল
প্রথশ আলো ফাইল ছবি

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সময়-সময় জারি করা নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকেরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবেন। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা নিজ নিজ শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে, সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১৫ মাস ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।
ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে। কতটুকু শিখল, সেটাও যাচাই করা যাচ্ছে না।