ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং | সৃজনশীল প্রশ্ন

অধ্যায় ১

নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

প্রশ্ন

ক. যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম কী?

খ. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক দুটি স্বায়ত্তশাসিত ধরনের কেন? ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকে প্রদর্শিত ব্যাংকগুলো মালিকানাভিত্তিক কোন শ্রেণির আওতাভুক্ত? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে উদ্দীপকে বর্ণিত সংগঠন কাঠামোভিত্তিক শাখা ব্যাংকগুলোর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো।

উত্তর

ক. যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম হলো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক।

খ. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিশেষ আইনবলে ও সংবিধানের বিশেষ অধ্যাদেশের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে বলে এদের স্বায়ত্তশাসিত ব্যাংক বলে। এ ধরনের ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ স্বাধীন থাকে। অর্থাৎ এ ধরনের ব্যাংক সরকার বা কোনো ব্যাক্তি দ্বারা পরিচালিত হয় না। সরকার মুখ্য পদে প্রতিনিধি পাঠায়। তবে সাধারণ কাজে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকে না।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে তিনটি ব্যাংক মালিকানার ভিত্তিতে সরকারি ব্যাংক ও একটি বেসরকারি ব্যাংক।

সরকারি ব্যাংকের সংগঠক, নিয়ন্ত্রক, পরিচালক ও মালিক হয়ে থাকে সরকার। এরূপ ব্যাংক সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়ে জাতীয়করণের মাধ্যমে সরকারি মালিকানায় আনা হয়। অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যাংক ব্যক্তিগত উদ্যোগে গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়।

উদ্দীপকে চারটি ব্যাংকের লোগো আঁকা আছে। প্রথম সারির বাঁ পাশের লোগোটি অগ্রণী ব্যাংক লি.–এর এবং ডান পাশেরটি জনতা ব্যাংক লি.–এর। নিচের সারির বাঁ পাশে লোগোটি রূপালী ব্যাংক লি.–এর। শেষের ডান পাশের লোগোটি পূবালী ব্যাংক লি.–এর। এদের মধ্যে অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়। চতুর্থ, অর্থাৎ পূবালী ব্যাংক লি. ব্যক্তিগত মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি ব্যাংক। তাই বলা যায়, মালিকানার ভিত্তিতে অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক হচ্ছে সরকারি ব্যাংক এবং পূবালী ব্যাংক একটি বেসরকারি ব্যাংক।

ঘ. শাখা ব্যাংক বৃহদায়তন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে শাখা ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি বলে আমি মনে করি। এ ব্যাংক ব্যবস্থায় দেশে–বিদেশে বিভিন্ন স্থানে শাখা স্থাপন করা হয়। ফলে ব্যাংকটি বেশি পরিমাণে আমানত সংগ্রহ করতে পারে । এ ধরনের ব্যাংক ব্যবস্থায় অর্থ স্থানান্তর ও তারল্য সুবিধা বেশি। বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় অর্থনীতিতেও এ ব্যাংকের প্রভাব বেশি থাকে।

উদ্দীপকে চারটি ব্যাংকের লোগো আঁকা আছে। ব্যাংকটি চারটি হলো: অগ্রণী ব্যাংক লি., জনতা ব্যাংক লি., রূপালী ব্যাংক লি: ও পূবালী ব্যাংক লি.।

এ ব্যাংকগুলো মূলত শাখা ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের ব্যাংকিং কাজ চালায়। বাংলাদেশে অগ্রণী ব্যাংক ৮৯৭টি, জনতা ব্যাংক ৮৯৪টি, রূপালী ব্যাংক ৫২৭টি এবং পূবালী ব্যাংক ৪২৪টি শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কাজ পরিচালনা করে। এসব শাখা প্রায় সারা দেশে ছড়িয়ে আছে। ফলে বেশিসংখ্যক মানুষকে সেবা দেওয়া যাচ্ছে। তাই বলা যায়, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে

উদ্দীপকে বর্ণিত শাখা ব্যাংকিং ব্যবস্থার গুরুত্ব অনেক বেশি।


নির্মল ইন্দু সরকার, সাবেক প্রভাষক
সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা