বাংলা | প্রশ্নোত্তর

হাতি আর শিয়ালের গল্প

প্রশ্ন: অনেক দিন আগে মানুষ কী
শিখছিল?

উত্তর: অনেক অনেক দিন আগে পরিবেশ এতটা উন্নত ছিল না। সুন্দর সবুজ বন, ঝোপঝাড় আর দিগন্তে ঝুঁকে পড়া নীল আকাশের ছোঁয়ায় পরিবেশ ছিল ভিন্ন রকম আমেজে ভরা। সেই সময়ের দিনগুলোতে বনে বনে ছিল পশুদের রাজত্ব। হাজার রকমের প্রাণী আর অসংখ্য পাখপাখালি ভরা ছিল বন-জঙ্গল। লোকালয়ে বসবাসকারী মানুষ তখন একটু একটু করে সভ্য হচ্ছিল আর শিখছিল কী করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকা যায় সেসব কায়দা-কানুন।

প্রশ্ন: হাতিটা দেখতে কেমন ছিল?

উত্তর: ‘হিতোপদেশ’ অবলম্বনে রচিত ‘হাতি আর শিয়ালের গল্প’র হাতিটা ছিল মস্তবড়। বিশাল শরীরের ওই হাতিটার পাগুলো ছিল বটপাকুড়গাছের মতো মোটা। শুঁড় এতটাই লম্বা ছিল যে আকাশের গায়ে গিয়ে ঠেকার মতো। গায়েও ছিল অসীম জোর। শরীর আর শক্তির অহংকারী ওই হাতিটার মেজাজও ছিল দারুণ তিরিক্ষি।

প্রশ্ন: হাতিটা বনে ঢুকে কী ধরনের আচরণ করেছিল?

উত্তর: হাতিটা বনে ঢুকে তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়ে দেয়। বনে ঢুকে প্রথমেই সে গলা ফাটিয়ে একটা প্রচণ্ড হুংকার দিল। সেই হুংকারে থরথর করে কেঁপে উঠেছিল সমস্ত বন। শুধু তা-ই নয়, হাতিটা এমন ভাব করতে শুরু করেছিল যেন সে-ই বনের রাজা। পাখি, ইঁদুর, গুবরেপোকার দল এমনকি অমিত শক্তিধর সিংহ এবং থাবা উঁচিয়ে চলা বাঘও হাতিটার এই আচরণে ভয়ে তটস্থ ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।