বাংলা ২য় পত্র

প্রতিবেদন লিখন
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলা ২য় পত্রের একটি নমুনা প্রতিবেদন দেওয়া হলো।
প্রশ্ন: একটি জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় সাংবাদিক হিসেবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও এর প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
‘দ্রব্যমূল্য এখন পাগলা ঘোড়া’
আদনান শফিক, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ০৪/০৪/২০১৪
বর্তমানে আমাদের জীবনে বহুবিধ সমস্যার অন্যতম দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি। নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের প্রতিনিয়ত দাম বাড়তে থাকায় কিছু মুনাফা শিকারি ও বিত্তশালী বাদ দিলে অবশিষ্ট জনসাধারণের জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ দুঃখ-দৈন্যে দিশেহারা।
পণ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেতে-খামারে, কল-কারখানায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী, নির্দিষ্ট আয়ের চাকরিজীবী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। তারা দিন দিন গরিব থেকে আরও গরিব হচ্ছে। অপরপক্ষে বড় বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের কালোটাকার পাহাড় জমছে। এ আর্থিক বৈষম্য সমাজজীবনে আনছে অশান্তি। দারিদ্র্য ও অভাব-অনটনে পড়ে শ্রমিক ও চাকরিজীবী মানুষ বেশি বেতন ও ভাতার দাবিতে হচ্ছে সোচ্চার। দারিদ্রের কশাঘাতে জর্জরিত ও জীবনসংগ্রামে পর্যুদস্ত মানুষ অসামাজিক কাজ-কর্মে লিপ্ত হচ্ছে। ফলে সমাজে অশান্তি ও উচ্ছৃঙ্খলতা বাড়ছে।
আজ তাই সময় এসেছে এ দুঃসহ অবস্থার প্রতিকারে সক্রিয় প্রয়াস চালানোর। এ জন্য সর্বাগ্রে যেমন সরকারের প্রয়াস-প্রচেষ্টার প্রয়োজন, তেমনই দরকার পণ্যসামগ্রীর চাহিদা ও জোগানের সমতা রক্ষা।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে ভোগ্যপণ্যের উত্পাদন অক্ষুণ্ন রাখতেই হবে। ভোগ্যপণ্যের উত্পাদন হ্রাস পেলে পণ্যের দাম বেঁধে রাখা হবে অসম্ভব। মুনাফাশিকারি ব্যবসায়ী ও উত্পাদনকারী আইনের ফাঁক-ফোকরে বা সরকারি ঔদাসীন্যে, বাজেট কর প্রস্তাবের সুযোগে অথবা জোগানের অপ্রতুলতা হেতু কৃত্রিম ঘাটতি তৈরি করে যাতে মুনাফা লুটতে না পারে তা দেখতে হবে।
কালোটাকা উদ্ধার করতে হবে।
পণ্য উত্পাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন নোট ছাপাতে হবে সতর্কতা অবলম্বন করে, যাতে মুদ্রাস্ফীতি পণ্য বৃদ্ধির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। ঘাটতি বাজেটের ক্ষতিকর দিকটি আমাদের সবার জন্য প্রযোজ্য। সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে—এটিই সবার প্রত্যাশা।
# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
শিক্ষক
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা