বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অধ্যায়-৬

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়ের জলবায়ু এবং দুর্যোগ অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করছি।

n অল্প কথায় উত্তর দাও।

প্রশ্ন: অত্যধিক গরমে শিশুরা কী কী রোগে ভোগে?

উত্তর: অত্যধিক গরমে শিশুরা জ্বর, ডায়রিয়া, হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা, আমাশয় ইত্যাদি রোগে ভোগে।

প্রশ্ন: ভূমিকম্পের সময় পাকা দালানে থাকলে কী করবে?

উত্তর: ভূমিকম্পের সময় পাকা দালানে থাকলে বিমের পাশে এসে দাঁড়াব।

প্রশ্ন: ভূমিকম্পের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয় নিয়ে কাদের সঙ্গে আলোচনা করবে?

উত্তর: বন্ধু, সহপাঠী, সমবয়সী, শিক্ষক ও অভিভাবক—সবার সঙ্গে ভূমিকম্পের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

প্রশ্ন: দুর্যোগের পূর্বাভাস জানতে পারলে কী করবে?

উত্তর: দুর্যোগের পূর্বাভাস জানতে পারলে তা সঙ্গে সঙ্গে অন্যের কাছে প্রচার করে তাকে সতর্ক করে দেব।

n বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর।

প্রশ্ন: আবহাওয়া ও জলাবায়ু কাকে বলে?

উত্তর: আমরা কখনো গরম অনুভব করি, আবার অনেক সময় ঠান্ডা অনুভব করি। কোনো স্থানে কখনো বৃষ্টি হয়, আবার কখনো বৃষ্টি হয় না। এসব বিষয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু ভূমিকা রাখে।

আবহাওয়া: কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের, অর্থাৎ এক থেকে সাত দিনের বায়ু, তাপ, চাপ, বাতাসের গতি, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত প্রভৃতির গড় অবস্থাকে আবহাওয়া বলে।

জলবায়ু: কোনো স্থানের কয়েক বছরের, সাধারণত ৩০ বছরের বেশি সময়ের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে ওই স্থানের জলবায়ু বলে।

প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনে কী কী ক্ষতি হয়?

উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা নানা রকম ক্ষতির সম্মুখীন হই। যেমন—

i. গড় তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

ii. অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি হয়।

iii. ঘূর্ণিঝড় ও জলচ্ছ্বাস বেড়ে যায়।

iv. প্রতিবছরই ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।

v. মাটির লবণাক্ততা বেড়ে কৃষিজমির ক্ষতি হয়।

vi. গাছপালা ও প্রাণী ধ্বংস হয়ে যায়।

vii. ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়।

viii. সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যায়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের আরও বহু ক্ষতির সম্মুখীন হই। আর এ কারণেই বর্তমানে দেশে দেশে দেখা যাচ্ছে নানা রকম দুর্যোগ।

প্রশ্ন: খরার কারণে কী কী সমস্যা হয়?

উত্তর: খরার কারণে নানাবিধ সমস্যা হয়। যেমন—

(i) খরার সময় ভূপৃষ্ঠের ওপরের মাটি সরে যায়। শস্যের উপযোগী এ মাটি সরে যাওয়ায় চাষাবাদে অসুবিধা হয়।

(ii) খরার সময় মাটির ওপরিভাগের পানি শুকিয়ে যেতে থাকে। এতে মাটির তলদেশে পানির স্তর নিচে নেমে যায়।

(iii) খরা উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়েরই বড় রকমের ক্ষতি করে। ধূলিময় মাটি প্রাণীকূলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিঘ্নিত করে।

(iv) মাটির আর্দ্রতা কমে যেতে থাকে। মাঠের ফসল ফলাতে কষ্ট হয়।

(v) খরার কারণে মাঠে ঘাস জন্মাতে পারে না। গবাদিপশুর খাদ্যসংকট দেখা দেয়।

(vi) খরার সময় অত্যধিক গরম পড়ে। গরমে অনেকে জ্বর, ডায়রিয়া, হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা, আমাশয়সহ নানা অসুখে ভোগে। হাঁস-মুরগির মড়ক দেখা দেয়।

(vii) খরার সময় তেমন কাজ থাকে না। অনেকের আয় বন্ধ হয়ে যায়।

খরায় মাঠঘাট, খালবিল, নদীনালা সব শুকিয়ে যায়। কৃষিকাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। মারাত্মক খাদ্যঘাটতি দেখা দেয়।

# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল

প্রধান শিক্ষক (প্রা.), হু. মু. এরশাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা