বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অধ্যায়-১৩ 
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের ১৩ম অধ্যায় থেকে প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।

প্রশ্ন: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা প্রয়োজন কেন?
উত্তর: বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্ব খুবই প্রয়োজন। মানুষ যেমন অন্যের সহযোগিতা ছাড়া সমাজে বসবাস করতে পারে না, তেমনি বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোও একে অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চলতে পারে না। বিশ্বের দেশগুলো বিভিন্ন দিক দিয়ে একটি অন্যটির ওপর নির্ভরশীল। এভাবেই দেশগুলোর মধ্যে গড়ে উঠেছে বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক।
দেশগুলোর মধ্যে এ ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বের উন্নয়নে অপরিহার্য।
দেশগুলোর সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিশ্বের জনগণকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ইত্যাদি থেকে মুক্ত করার জন্য বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই।

প্রশ্ন: সার্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য কী?
উত্তর: এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত আটটি দেশ নিয়ে গঠিত হয় সার্ক। ১৯৮৫ সালের ৮ই ডিসেম্বর সার্ক গঠিত হয়। স
দস্য দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান। সার্কের পুরো নাম ‘দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা’।
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত চেষ্টা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশগুলোর মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করাই হচ্ছে সার্কের প্রধান লক্ষ্য। এ ছাড়া এটি গঠনের আরও কিছু উদ্দেশ্য আছে। এগুলো হলো—
১. সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অবস্থার দ্রুত উন্নয়ন করা।
২. দেশগুলোকে বিভিন্ন বিষয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করা।
৩. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমে দেশগুলোর উন্নয়ন সাধন করা।
৪. দেশগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি ও পরস্পর মিলেমিশে চলা।
৫. সদস্য দেশগুলোর স্বাধীনতা রক্ষা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার নীতি মেনে চলা।
৬. এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।

প্রশ্ন: জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর: জাতিসংঘ একটি আন্তর্জাতিক তথা বিশ্ব প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের যেকোনো স্বাধীন রাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য হতে পারে।
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর তারিখে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ১৯৩। এর সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত।
জাতিসংঘ কিছু মহত্ উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে। উদ্দেশ্যগুলো হলো:
১. বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
২. বিভিন্ন জাতি তথা দেশের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করা।
৩. অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা।
৪. জাতি, ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান গড়ে তোলা।
৫. বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদ মীমাংসা করা।

# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যবরেটরি স্কুল, ঢাকা