বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উদ্বোধন হবে ছাত্রীদের জন্য প্রথম আবাসিক হল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্রথম আবাসিক ছাত্রী হল ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ আগামী ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উদ্বোধন করা হবে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মীজানুর রহমান হলটি পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান।
উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আবাসিক হলটি উদ্বোধন করা হলেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ছাত্রীরা হলে উঠলেই এর পূর্ণতা পাবে। পুরান ঢাকার মতো স্বল্প জায়গায় হল নির্মাণে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল। কাজ এখন শেষের দিকে। হলে ছাত্রীদের জন্য সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাস খোলার পরে আমরা সিট বরাদ্দের প্রক্রিয়া শুরু করব। ইতিমধ্যে হল প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সহকারী প্রভোস্টসহ হল পরিচালনায় অন্যান্য কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘হলে আসন বরাদ্দে খসড়া নীতিমালা করে কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ছাত্রীরা উঠবেন।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০তলা ভিত্তির ১৬তলা ভবনটিতে মোট ১৫৬টি কক্ষ, একটি পাঠাগার, একটি ক্যানটিন, একটি ডাইনিং রয়েছে। এ ছাড়া প্রতি তলায় সাতটি করে টয়লেট, নয়টি গোসলখানা এবং চারটি লিফটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি কক্ষে চারজন ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা বিছানা ও টেবিল-চেয়ার রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারি, শেষ হওয়ার সময় ছিল ২০১৩ সালের ৩০ জুন। কিন্তু প্রকল্পের জায়গাটি ২০১৪ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে সরকার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এরপরও প্রকল্পটি সম্পন্ন না হওয়ায় বিশেষ শর্তে আবার মেয়াদ ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কাজ শেষ না হওয়ায় বিশেষ বিবেচনায় এ প্রকল্পটির মেয়াদ চতুর্থবারের মতো আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু লিফট, গ্যাসলাইন, সাবস্টেশন ও ভূগর্ভস্থ জলাধার নির্মাণ করার দরপত্র গ্রহণ ও চুক্তি প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। পরে আরও এক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ সম্পন্ন হয়েছে।