বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম’-এর ব্যানারে এই মানববন্ধন করেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগপ্রত্যাশীরা
ছবি: আহমেদ দীপ্ত, ২০ অক্টোবর, ঢাকা

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম’-এর ব্যানারে এই মানববন্ধন করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়ারা বলছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সব কার্যক্রমের দায়িত্বে আছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এনটিআরসিএ কর্তৃক তৃতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ করার কথা ছিল। প্রায় ৫৭ হাজার ৩৬০টি শূন্যপদের তালিকাও এই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ তৈরি করে। কিন্তু, এখন পর্যন্ত তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।

নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলছেন, ১৫তম নিবন্ধনে প্রায় ৮ লাখ ৭৬ হাজার প্রার্থীর মধ্য থেকে ১১ হাজার ২৩০ জন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ নিয়ে একটি জাতীয় মেধা তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। তবে এখনো এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত না হওয়ায় তাঁরা হতাশ।

মানববন্ধনে নিয়োগপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও গণবিজ্ঞপ্তি না হওয়ায় তাঁরা হতাশা ও দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। অনেকের বয়স ৩৫ পার হয়ে যাওয়ায় তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনের সুযোগ হারিয়েছেন। অনেকে টিউশনি করে চলছেন। করোনার সময়ে তাঁরা ভয়াবহ কষ্টে আছেন।

৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ রাজু বলেন, এনটিআরসিএ নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। সবকিছু প্রস্তুত থাকার পরও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দেরি হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে সব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন পরীক্ষা, ভাইভাসহ সব কার্যক্রম চলছে। অথচ এনটিআরসিএ তাদের নিয়োগ ও গণবিজ্ঞপ্তি কার্যক্রম চালাচ্ছে না।

নিয়োগপ্রত্যাশীরা জানান, গণবিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়ে তাঁরা এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ পর্যন্ত এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে সাতবার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর দুবার স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবু তাঁদের দাবি আদায় হয়নি। গতকাল সোমবার তাঁরা দাবিগুলো লিখিত আকারে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠিয়েছেন।