সৈয়দা খালেদা জাহান, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা
প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী, শুভেচ্ছা রইল। বাংলা ২য় পত্রে ব্যাকরণে ভালো করলে সহজেই বেশি নম্বর পাওয়া যায়।
ব্যাকরণ অংশ: ব্যাকরণ অংশে গুরুত্ব বেশি দিতে হবে। শব্দ প্রকরণ, শব্দ গঠন, বাক্য প্রকরণ, উপসর্গ, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান, সমাস-সন্ধি থেকে প্রায়ই ব্যাকরণ অংশের প্রশ্ন আসে। এ অধ্যায়গুলো থেকে প্রশ্ন নোট করে মুখস্থ রাখলে সহজেই উত্তর লেখা যায়। এ ছাড়া সমাস, সন্ধি, প্রত্যয়, পারিভাষিক শব্দ, শুদ্ধকরণ, প্রতিশব্দ—এগুলো পড়তে হবে।
নাটক: প্রশ্নের প্রথম অংশে নাটক থাকে। নাটকে ২০ নম্বর থাকে। একটি বড় প্রশ্ন, একটি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও একটি ব্যাখ্যা থাকে। সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত তিনটি নাটকের যেকোনো একটি থেকে উত্তর লিখতে হবে। নাটক অংশে ভালো নম্বর পেতে হলে মূল বইটি দুই-তিনবার ভালো করে পড়ে নিতে হবে।
বড় প্রশ্ন: নাটক থেকে দুই-তিনটি প্রশ্ন পড়লেই কমন পড়ে। বড় প্রশ্নের ক্ষেত্রে ভূমিকা ও উপসংহার আকর্ষণীয় এবং প্রাসঙ্গিক হওয়া আবশ্যক। বড় প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় নাটক থেকে প্রয়োজনীয় উদ্ধৃতি দিলে উত্তরের মান বাড়বে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় তিনটি অনুচ্ছেদে উত্তরটি লিখবে। শিরোনাম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
ব্যাখ্যা: ব্যাখ্যা লেখার সময় উৎস, প্রসঙ্গ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য—এ চারটি শিরোনাম মাথায় রেখে লিখবে। শিরোনাম না নেওয়াই ভালো।
পত্র লিখন: ব্যক্তিগত পত্রের চেয়ে আবেদনপত্র লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়। পত্র লেখার সময় নিয়ম-কানুন সতর্কতার সঙ্গে অনুসরণ করতে হবে। যেসব পত্র ডাকযোগে পাঠাতে হয়, তা আবেদনপত্র হলেও খাম ব্যবহার করতে হবে। চিঠিপত্রে ব্যক্তিগত ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানের (কলেজের) নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ব্যবহার করবে না। ক, খ, গ ইত্যাদি বর্ণ ব্যবহার করবে।
ভাষণ বা প্রতিবেদন: ভাষণ অথবা প্রতিবেদন যেকোনো একটি লিখতে হয়। তবে ভাষণ লেখা অপেক্ষাকৃত সহজ। ভাষণের চারটি অংশ থাকে: সম্ভাষণ, সূচনা, মূল বক্তব্য ও উপসংহার। শিল্পসম্মত উপস্থাপনা, বক্তব্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং শ্রোতার মনে স্থায়ী প্রভাব সৃষ্টিকারী সমাপনী বক্তব্য ভাষণ লেখার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভাষণের ভাষা সহজ ও সাবলীল হওয়া প্রয়োজন। যাতে শ্রোতা সেটি সহজেই বুঝতে পারে। প্রতিবেদনে সাধারণত তিনটি অংশ থাকে। প্রারম্ভিক অংশ, প্রধান অংশ ও পরিশিষ্ট। প্রারম্ভিক অংশ: এতে থাকে মূল শিরোনাম, প্রাপকের নাম-ঠিকানা, সূত্র ও বিষয়ের সংক্ষিপ্ত সারনির্দেশক কথা। প্রধান অংশ: এতে থাকে বিষয় সম্পর্কে ভূমিকা, মূল প্রতিবেদন, উপসংহার ও সুপারিশ। পরিশিষ্ট: এতে থাকে তথ্য নির্দেশ, গ্রন্থ বিবরণী, কমিটি তালিকা ও আনুষাঙ্গিক বিষয়।
ভাবসম্প্রসারণ: ভাবসম্প্রসারণ লেখার সময় তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেবে। ক. মূলভাব খ. সম্প্রসারিত ভাব গ. মন্তব্য। কোনো শিরোনাম লিখবে না।
প্রবন্ধ: প্রবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে তথ্যভিত্তিক ও বিজ্ঞানবিষয়ক রচনা নির্বাচন করাই ভালো।