যুক্তরাষ্ট্রে ২৭৭০০০ স্কুলশিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ৫১

মাস্ক পরে স্কুলে যাওয়ার অপেক্ষায় এই শিশু। রজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, স্ট্যামফোর্ম, কানেটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র। ছবিটি সম্প্রতি তোলা
ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর ৯ মাস পেরিয়ে গেছে। করোনা ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বের শিশুদের পড়াশোনা চলে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে। কোভিড–১৯–এর কারণে অনেক দেশেরই স্কুল বন্ধ। কোনো কোনো দেশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খুলে দিচ্ছে। এখনো বিশ্বের ৫২টি দেশ শিশুদের পড়ার জন্য অনলাইনের ওপরেই ভরসা করে আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি স্কুলশিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির ২ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি স্কুলশিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। কোভিড–১৯–এ মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের।
মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) বরাতে এএফপির এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

সিডিসি গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি স্কুলশিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ হিসাব এ বছরে ১ মার্চ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের মোট আক্রান্তের চার শতাংশ হলো স্কুলশিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের তুলনায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীরা দ্বিগুণ হারে আক্রান্ত হয়েছে।

সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে ক্লাস। সামার স্কুল, মন্টারিরি পার্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ৯ জুলাই
ছবি: এএফপি

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বসন্তকালে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং গ্রীষ্মকালে তা কমে যায়। মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বিবরণীতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৫ স্কুলশিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৩ হাজার ২৪০ জনকে (শতাংশের হিসাবে ১ দশমিক ২ শতাংশ)। তাদের মধ্যে ৪০৪ জন ভর্তি হয়েছিল আইসিইউতে (শতাংশের হিসাবে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ)। এ ছাড়া করোনায় ৫১ স্কুলশিক্ষার্থী করোনায় মারা গেছে (শতাংশের হিসাবে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ)।

বাবার সঙ্গে স্কুলে এসেছে ফেলিক্স। আরডর স্কুল, ব্রুকলিন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ২১ সেপ্টেম্বর
ছবি: রয়টার্স

৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ১ লাখ ১ হাজার ৫০৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্য মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্য মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের।

শিশুদের মধ্যে যাদের ফুসফুসে সমস্যা এবং হাঁপানি ছিল, তাদের অবস্থাই বেশি গুরুতর হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা। এ প্রতিবেদন নিয়ে মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা জানায়, যেখানে করোনার সংক্রমণ কম সেখানে স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া নিরাপদ হতে পারে। কিন্তু যেখানে করোনার সংক্রমণ বেশি, সেখানে স্কুল খুলে দিলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।