রমজানেও ক্লাস চলবে, ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি

প্রথম আলো ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে আগের বন্ধের ধারাবাহিকতায় ২৯ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। চলমান ছুটির এ মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। গতকাল রোববার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে আগের বন্ধের ধারাবাহিকতায় ২৯ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। একইভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ নির্দেশনা দিয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, রোজার পুরো সময়ে ছুটি থাকবে না। এমনিতেই অনেক সময় চলে গেছে। আমরাও ছোটবেলায় দেখেছি শুধু ঈদের সময় ছুটি থাকত। এবারও আমরা তেমনটা করতে চাই।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ছুটির এ সময়ে নিজেদের এবং অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকেরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবে। এ সময় শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে, সে বিষয় সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা নিশ্চিত করবেন।

এর আগে গত শনিবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর ৩০ মার্চ দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। রোজার পুরো সময়ে ছুটি থাকবে না। এমনিতেই অনেক সময় চলে গেছে। আমরাও ছোটবেলায় দেখেছি শুধু ঈদের সময় ছুটি থাকত। এবারও আমরা তেমনটা করতে চাই।’

সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ছুটি ছিল গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ পর্যালোচনা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই দিন শিক্ষামন্ত্রী জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে ঈদের পর আগামী ২৪ মে থেকে। এ অবস্থায় স্কুল-কলেজ কবে খুলবে, সেটি জানার আগ্রহ সংশ্লিষ্টদের।

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে
প্রথম আলো ফাইল ছবি

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতিমধ্যে গত বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়। গত উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাও হয়নি। জেএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ওপরের শ্রেণিতে উঠেছে।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন